মৌলভীবাজার জেলায় এবার ১ হাজার ৭টি পূঁজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। জেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১ হাজার ৭টি পূঁজামন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৮টি, রাজনগর উপজেলায় ১২৮টি, কুলাউড়া উপজেলায় ২২০টি, জুড়ী উপজেলায় ৭২টি, বড়লেখা উপজেলায় ১৫১টি, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৬০টি ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৬৭টি পূজামন্ডপ রয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। পূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রীতি কমিটি গঠনসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ২ বছর করোনা মহামারীর কারণে পূজার আয়োজন হলেও, মানুষের মাঝে একটা উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছিলো। পাশাপাশি মন্ডপগুলোতে মানুষের চলাচল সীমিত ছিলো। এবছর করোনার প্রাদুভাব না থাকায় সবার মাঝে একটা উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে। গত ২ বছর করোনার কারণে জাঁক-জমকপূর্নভাবে পূজা উদযাপন হতে পারেনি। তবে, এবার জেলায় শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপের ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। অপরদিকে, শহর ছাড়াও শহরের বাইরে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা এবং গ্রামগঞ্জের মন্ডপগুলোতে তারা নিজেদের উদ্দোগে বিদ্যুতের ব্যবস্থাসহ পূজার ৫ দিন মন্ডপ পাহাড়ার জন্য কমিটি করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও জেলার রাজনগরের পাঁচগাঁওয়ে, কুলাউড়ার কাদিপুর শিবমন্দিরে, সদর উপজেলার ত্রিনয়নী, আবাহন, মহেশ^রী ও শ্রীমঙ্গলের রুপসপুর মন্ডপে ব্যতিক্রমী আয়োজনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সবকটি উপজেলায় নেয়া হয়েছে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাঁচ দিনের বৃহৎ এ পূজাকে ঘিরে বড় বড় মন্ডপগুলোতে দিনরাত মিলিয়ে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। ফলে, অধিক ঝুকিপূর্ণ ৮২টি পুজামন্ডপসহ আইন-শৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে ৭৪৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ৬ হাজার ৮২০ জন আনসার সদস্য। এছাড়া, সাদা পোষাকে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। দূর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্নভাবে পালনের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ সভা করেছেন। প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপের আশপাশের সকল ধর্মের লোকজনকে নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন। এবছার জেলায় সরকারিভাবে প্রত্যেকটি সার্বজনীন পূজা মন্ডপে ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।