একটি ব্রীজের অভাবে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে চলাচল করছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে তাদের এ ভোগান্তি চরম আকার ধারন করে। বর্ষাকালে স্কুল যাতায়াতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যেন বেদনাদায়ক একচিত্র। কাদাপানির মাঝেই কলার ভুড়া কিংবা সাতার ছাড়া বিদ্যালয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই তাদের। দুই গ্রামের মাঝপথে নীচু নালাদোলা ক্যানেলে অথৈ পানিই জনগনের দুর্ভোগের কারন। স্থানীয় উদ্দোগে বাশের সাকো নির্মান করা হলেও তা বেশীদিন টেকেনি। জনদুর্ভোগ নিরসনে দুটি গ্রামের মাঝপথে একটি সেতু নির্মানের দাবী জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। সরে জমিনে জেলার আদিতমারী থানার তালুক পলাশী ইউনিয়নের পুর্ব তালুক পলাশী এলাকার ১, ৭,ও ৮ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে,চাতরা দোলার দোস মামুদ সেতুর পুর্ব পাশে সতি নদীর ক্যানেল পার হয়ে ১,৭,৮ নং ওয়ার্ডে যেতে হয়। এই তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল করার কোন রাস্তা নাই। চরম ভোগান্তিতে তারা জীবন যাপন করে। বিশেষ করে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। শুকনো মৌসুমের ভোগান্তির মাঝে স্কুল কলেজে ছাত্র ছাত্রীরা যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের ভোগান্তি অবর্ননীয়। বর্ষা মৌসুমে ছাত্রছাত্রীরা দুটি পোশাক নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। পরিহিত পোশাকে বইপুস্তক হাতে নিয়ে সাতার দিয়ে ক্যানেল পার হয়ে পরনের ভেজা পোশাক বদল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় এবং একই ভাবে তারা বাড়ী ফিরে আসে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনতে এলাকার মানুষকে বিরাম্বনায় পড়তে হয়। সময় মত তারা সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ করে আনতে পারেনা। অসুস্থ্য রোগীকেও সময়মত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনতে পারেনা। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে জেলার কালীগঞ্জ থানার কাকিনা ইউনিয়নের কাজীরহাট গরলের দোলা থেকে শুরু হয়ে তিস্তা নদীর দুটি ক্যানেলের পানি প্রবাহিত হয়ে আদিতমারী থানার স্বর্নামতির ভ্যাটেশর নদীতে মিলিত হয়। মাঝখানে একটি সরকারী রাস্তা। শুকনো মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে জনগন এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারতো কিন্তু এলাকাটি নীচু হওয়ায় রাস্তাটি তলিয়ে যায়। ৮/১০ বছর পুর্বে একটি বড় বন্যা হলে পানির তোড়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। সে সময থেকে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ে এই এলাকার মানুষ। দীর্ঘ দিন থেকে চরম ভোগান্তিতে এলাকার মানুষ চলাচল করলেও তাদের এদুর্দশা লাঘবে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কেউ। ইউপি চেয়ারম্যান সদস্য এবং জন প্রতিনিধিদের কোন নজর নেই। জনদুর্ভোগ নিরসনে ভুক্তভোগীরা নিজ উদ্দোগে নিজস্ব অর্থে কয়েক বছর আগে একটি বাশের সাকো নির্মান করেছিল কিন্তু কিছুদিন পর সেটি ভেঙ্গ যায়। জনদুর্ভোগ লাঘবে ক্যানেলের উপর একটি সেতু নির্মানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।