জীবনের প্রতিটি কাজই আমল। ইসলামি শরিয়ত সম্পর্কে জানার পর সে অনুযায়ী আমল করা আবশ্যক। ইলম অনুযায়ী কিংবা উপদেশ অনুযায়ী আমল না করায় রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা। হাদিসে এসেছে- হজরত ওসামাহ ইবনে যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে। তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তার নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে আসবে। এ অবস্থা নিয়ে সে ঘুরতে থাকবে, যেভাবে আটা পিষা জাঁতার সঙ্গে গাধা ঘুরতে থাকে।
জাহান্নামিরা তার কাছে সমবেত হবে এবং তারা বলবে- আপনি কি আমাদের ভালো কাজের আদেশ আর মন্দ কাজের নিষেধ করেননি? অতপর সে বলবে- ‘হ্যাঁ’, আমি তোমাদের ভালো কাজের আদেশ করতাম ঠিকই কিন্তু নিজে তা পালন করতাম না। আর খারাপ কাজে নিষেধ করতাম আর নিজেই তা করতাম।’ (বুখারি, আবু দাউদ) কেয়ামতের ময়দানে সেসব আলেম ও জ্ঞানীরাই বিপদগ্রস্ত হবে, যারা ইলম অর্জন করেছে, আমল করার উপদেশ দিয়েছে ঠিকই নিজেরা সে জ্ঞান বা উপদেশ অনযায়ী আমল করেনি। তারা জাহান্নামে নিক্ষেপিত হবে।
মনে রাখতে হবে: হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আমলবিহীন ইলম কেয়ামতের দিন বড় শাস্তির কারণ হবে। প্রবাদে রয়েছে যে, ‘ইলম অর্জনকারী আমলবিহীন ব্যক্তি ফলবিহীন গাছের ন্যায়’। সুতরাং মানুষের উচিত দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের বিধি-বিধান জানার সঙ্গে সঙ্গে যখন নিজেরা আমল করবে ঠিক তখনই অন্যকেও আমল করার ব্যাপারে উপদেশ দেবে। হাদিসের নির্দেশনাও এমনই কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার কাছ থেকে একটি নির্দেশনা হলেও অন্যের কাছে পৌছে দাও।’ আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইলম অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।