দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯৫০ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ৩১৬ জনে। মোট শনাক্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৯০ জন এবং এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ১৭৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরো জানানো হয়, ৯২টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৮১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ২০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৩১৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৯৫০ জন। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ২৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ আট হাজার ১৭৭ জনে। গতকাল মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১১ হাজার ৯৮১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ২০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন এবং নারী ১৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের এবং বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন। ২০ বছরের বেশি বয়সী ছিলেন একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ১৮ জন। ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের চারজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের ছিলেন একজন।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার: সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৩৮৫ (৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ) এবং নারী ৯৩১ জন (২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ)।