আনোয়ারায় দ্ররিদ্রের গভীর নলকূপ ধনীদের ঘরে ঘরে, নতুন আবেদন করতে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে যেতে বলে।সুবিধাবঞ্চিতরা পানির কষ্টে মরে। উপজেলাজুড়ে নলকূপ বরাদ্দের নামে চলছে হরিলুট। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তারা সরকারের চেয়ারে বসে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা না করে গভীর নলকূপ বরাদ্দ দিচ্ছে বেশির ভাগই সচ্ছল ব্যক্তি, দলীয় নেতাকর্মী ও প্রভাবশালী নেতাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে। অথচ সরকারের নীতিমালায় বলা হয়েছে অন্তত ১০টি গরীব পরিবারের নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে স্থাপন করতে হবে এই নলকূপগুলো। এই চিত্রের উল্টো দেখা দেখা দিয়েছে আনোয়ারায়। দ্ররিদ্রের গভীর নলকূপ ধনীদের ঘরে। নতুন আবেদন করতে উপজেলা প্রকৌশলী যেতে বলেন মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে। আনোয়ারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস গভীর নলকূপগুলো দিয়েছেন ব্যবসায়ী, ধনাঢ্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংকার, সাংবাদিক ও সচ্ছলদের আবদ্ধ জায়গায় অথবা ঘরে বা উঠানে। অথচ সরকারী নীতিমালায় বলা আছে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার বসবাসকারী এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে নলকূপ স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তুু আনোয়ারা উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের যৌথ হরিলুটে যেমন ইচ্ছা তেমন করে স্থাপন করছে গভীর নলকূপগুলো। ফলে অধিকাংশ নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। টাকার বিনিময়েও নলকূপ বরাদ্দের অভিযোগ রয়েছে অহরহ। যেসব এলাকায় সুপেয় পানির হাহাকার চলছে। গ্রীষ্মকালে যে সব এলাকায় পানি ওঠে না। যে সব এলাকায় সুপেয় পানির দীর্ঘদিন ধরে কষ্টে রয়েছেন সে সব এলাকায় নলকূপ বরাদ্দের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের এবং অর্থের বিনিময়ের ও দলীয় নেতাকর্মীদের সুপারিশে নলকূপ বরাদ্দের কারণে ক্ষুদ্ধবঞ্চিত হত দ্ররিদ্ররা। এতে উপজেলায় অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ পেতে সরকার নলকূপ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এর সুফল পাচ্ছে না আনোয়ারার গরীব দুঃখী মেহনতি জনগণ। এই উপজেলায় গভীর নলকূপ নিয়ে চলছে নানা অনিয়ম। স্বজনপ্রীতি আর তালিকায় চূড়ান্ত নাম উত্তোলন নিয়ে চলছে তুঘলকিকান্ড। ফলে বেশির ভাগ গরীব মানুষ সরকারি নলকূপের উপকার ভোগ করতে পারছে না। স্থানীয় জনগণ জানান, সরকারি এসব গভীর নলকূপ ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় ও আবদ্ধ ঘরে বসানোর জন্য উদ্ধর্তন মহলের তদন্তপূর্বক উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে অপসারণ করার দাবী জানান। এব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জানান, যে সমস্ত নলকূপে পানি উঠতেছেনা সেগুলো মেরামত করে দেওয়া হবে। নতুন আবেদন নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে। এঅর্থবছরে কয়টি নলকূপ বরাদ্দ এসেছে এবং সেগুলো কারা কারা পাইছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতগুলো বিষয় আমি আপনাকে কেন জানাবো বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।