‘মিলন অংশ গ্রহণ ও প্রেরন কর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’-এই মূল সুরে খ্রীস্টীন ধর্মাবলম্বীদের দুইদিন ব্যাপি তীর্থ উৎসব ২৭ ও ২৮ অক্টোবর। প্রতি বছর এই তীর্থ উৎসব শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারীতে অনুষ্ঠিত হয়। যথাযথ ধর্মীয় ভাব গান্বীর্যের মাধ্যমে নালিতাবাড়ীর বারোমারী মিশন ও সাধু লিওর গির্জায় এই তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসবকে ঘিরে খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শুরু হয়েছে এক বিশেষ আমেজ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রীর সমাগম ঘটে এই উৎসবে। এই উৎসবকে সামনে রেখে বারোমারী মিশন জুড়ে ও তার আশপাশের খ্রীস্টান পরিবারের মানুষগুলোর মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবে দুই দিন ব্যাপি কর্মসূচির প্রথম দিনে রয়েছে-পুর্ণমিলন, পবিত্র খ্রিস্টযাগ, জপমালার প্রার্থনা ও আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামেন্তের আরাধনা, ও নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণ। জীবন্ত ক্রুশের পথ ও পবিত্র মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে দ্বিতীয়দিন এই তীর্থ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। তীর্থ উৎসবের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ হচ্ছে আলোকশোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রায় দেড় কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করা। এ সময় খ্রীস্টভক্তরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করে হাতে নিয়ে প্রভুর প্রার্থনা করতে করতে এই পথ অতিক্রম করবেন। বারোমারী মিশনের ফাদার ও তীর্থ উৎসব উদযাপন কমিটির সমন্বয়কারী ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন-করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর স্বল্প পরিসরে বাৎসরিক এই তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রনে আসায় আসছে তীর্থ উৎসবে দেশ বিদেশের প্রায় ২০/২৫ হাজার খ্রীস্টভক্তরা এখানে এসে ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করবে। খ্রীস্টভক্তদের এক মহা মিলন ঘটবে এই তীর্থস্থানে। যথাযথ ধমীয় ভাব গান্বির্যের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপি এই তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। মিশনের ভাইস চেয়ারম্যান লুইস নেংমিনজা বলেন-এই তীর্থ উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার সকল প্রস্তুতির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের অবস্থান এবং ধর্মীয়কাজগুলো করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিñিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সুন্দর পরিবেশে এই তীর্থ উৎসব সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা করেন।