চিতলমারীতে শতশত মানুষের পারাপারে বাঁশের সাকোঁই একমাত্র ভরসা। বলেশ্বর নদের উপর সেতু না থাকায় দুই উপজেলার মানুষ এই বাঁশের সাকোঁ দিয়েই পারাপারে যুগযুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাঁশের সাঁকোটিও নিয়মিত সংস্কার করতে না পারায় চলাচলের অনুপযোগী হওয়াসহ ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। একটি সেতু নির্মাণ হলে দুই উপজেলার প্রতিনিয়ত চলাচলকারি হাজারো মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বাগেরহাটের চিতলমারী ও পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সীমান্তের মধ্যবর্তী বলেশ্বরনদ। এখানকার মানুষের যাতায়ত ব্যবস্থা, কৃষি খাতের উন্নয়ন, সুপেয় পানিও এলাকার অবকাঠামোর দিকে তাকালে অবিলম্বে এই নদী খনন করা জরুরী এবং বৃহত্তর বাঁসের সাঁকোর স্থানে সেতু নির্মাণের জোর দাবী এলাকাবাসীর। বলেশ্বর পাড়ে কথা হয় নাজিরপুরের বানিয়ারী গ্রামের মোঃ শওকত আলীর সাথে। তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রতিশ্রæতি দিলেও এই নদী খনন এবং সেতু নির্মাণের উদ্যোগ দেখা যায়না। কিছু লোক মাঝে মধ্যে আসে, ছবি তুলে নিয়ে যায়- আশ্বাস দেয়, তারপর সব ভুলে যায়।’ ধনঞ্জয় বালা বলেন, ‘বলেশ্ব^র এখন খাল হয়ে গেছে। সাঁকো দিয়ে স্কুল শিক্ষর্থীরা পারাপারের সময় নিচে পড়ে যায়। সাংবাদিকরা কয়েকবার ছবি তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু কিছু তো হয় না।’ প্রায় দুইশ’ গজ দৈর্ঘ্য বাঁশের সাকো ১০মিনিট ধরে পেরিয়ে এসে এক গৃহবধু জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ এই বাঁসের সাঁকো পার হয়। এখানে অবিলম্বে সেতু নির্মাণ করা দরকার। নিবিড় রায় জানান, স্বাধীনতার এতটি বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখানের কোন উন্নয়ন হয়নি। এটা দুঃখজনক। নদীটি খনন করলে নাব্যতা ও পানির সংকট দুর হবে। কৃষি কাজের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এই নদীর মিষ্টি পানি পানের উপযোগী। এই মিষ্টি পানিকে ধরে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয়া দরকার। তারা আরো জানান, এই বলেশ্বর এক সময় ¯্রােতে মূখর ছিল। নেই সেই মুখরতা। তার বুকে এখন জেগে উঠেছে কচুড়িপনার চর। (চিতলমারী-নাজিরপুর সীমান্তের) দুই পারের মানুষ পার হচ্ছে ওই চরের বুকে তাদের সেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁসের সাঁকো দিয়ে। নির্মিত সাঁকোর উত্তরদিকে মাটিভাঙ্গা এলাকায় মধুমতি হতে বলেশ্বর দক্ষিণ দিকে যাত্রা শুরু করে। চিতলমারী, কচুয়া, বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার পাশঘেঁশে এই বলেশ্বর সাগরে চলে গেছে।