শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ অপরাহ্ন

করোনায় লোকসানে কাশিয়ানীর হাট ইজারাদাররা

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে কাশিয়ানী উপজেলার ১৭টি হাট-বাজার সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ ছিল। খাজনা আদায় করতে না পেরে চরম লোকসানের মধ্যে পড়েছেন এসব হাটের ইজারাদাররা। জানা গেছে, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী উপজেলার বৃহৎ পরানপুর পশুরহাট। এ হাট থেকে প্রতি বছর সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকারিভাবে হাটটি ১ কোটি ৫৭ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে তিন মাস ১২টি হাট বন্ধ ছিল। এছাড়া করোনাভীতির কারণে আগের মতো লোকজন হাটে আসে না। ফলে বড় ধরণের লোকসানের মধ্যে পড়েছেন হাট ইজারাদাররা। এতে এ হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারকেও মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। একই অবস্থা উপজেলার ভাটিয়াপাড়া পশুরহাটসহ অন্যান্য হাটগুলোরও। হাট ইজারাদার মো. আলী মোল্যা জানান, এ বছর তিনি ১ কোটি ৫৭ হাজার টাকায় হাটটি ইজারা নিয়েছেন। করোনার কারণে তিন মাস হাট বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে হাট বসার অনুমতি দেয়া হলেও আগের মতো হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা আসছে না। করোনার আগে প্রতি হাটে ২/৩ লাখ টাকা খাজনা আদায় হতো। এখন সেখানে অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রতি হাটে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খাজনা আদায় হচ্ছে। এতে বড় ধরণের লোকসানের মুখে পড়বেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। করোনায় লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই ইজারাদার। গরু ব্যবসায়ী শিপন মোল্যা বলেন, ‘আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে গরুর কেনাবেচা করে আসছি। হাটে এতো কম লোকের উপস্থিতি দেখেনি। এবার ক্রয়-বিক্রয় খুবই কম হচ্ছে। ইজারাদার বড় ধরণের লোকসানে আছেন।’ গরু কিনতে আসা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাচাইল গ্রামের হাসান মুন্সী বলেন, ‘আগে মানুষের ভিড়ে হাটের মধ্যে ঢুকা যেতো না। এবার হাটে এসে দেখলাম তেমন কোন ভিড় নেই। কেনাবেচাও দেখলাম খুবই কম।’ কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে হাটের বিষয়টি ডেপুটি কালেক্টরের এখতিয়ারভূক্ত। পরানপুর পশুরহাটের ব্যাপারে একটি আবেদন পেয়েছিলাম। সেটি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com