বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানীর প্রথম নামাযে জানাজা আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ নিজ গ্রাম রাজশাহীর হেতেম খাঁ -এ নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে দ্বিতীয় নামাযে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী গত ১৪ নভেম্বর দীর্ঘ রোগভোগের পর নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
তিনি স্ত্রীসহ ১ ছেলে, ১ মেয়ে, ২ নাতি এবং ২ নাতনি রেখে যান। তার পুত্র ব্যারিষ্টার জিয়াউল হাসান একজন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী। মেয়ে নাজনীন আফরোজ রিপা, আমেরিকা প্রবাসী।
বিচারপতি মোহামম্মদ গোলাম রাব্বানী ১৯৩৭ সালে রাজশাহী জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আইনজীবী হিসেবে তিনি ১৯৬০ সালে আইন পেশা শুরু করেন। পরবর্তীকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্ট বিভাগে ১৯৬৫ সালে এবং ১৯৭১ সালে সুপ্রীমকোর্ট অব পাকিস্তান আইনজীবী হিসেবে এনরোল্ড হন। এরপর ১৯৮৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ, আপিল বিভাগের সিনিয়র এডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্তির সম্মান অর্জন করেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী অত্যন্ত সত্যনিষ্ঠ এবং নির্ভীক বিচারক হিসেবে সম্মানিত ছিলেন এবং মুসলিম ব্যক্তি/আইনের বেশ কিছু সময়োপযোগী ব্যাখ্যা এসেছে তার দেয়া কয়েকটি রায়ে যা জনস্বার্থে এক বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী সমকালীন ও আইন অঙ্গন বিষয়ে জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র গুলোতে নিয়মিত লিখেছেন। এছাড়া লেখা প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে ‘দ্য কোড অব সিভিল প্রসিডিউর : কনসেপ্ট কমেন্ট এন্ড কেইস (ডিএলআর)’, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানঃ সহজপাঠ (উন্নয়ন সমন্বয়) জার্নি উইদিন ইসলাম (ইউপিএল), স্বাধীনতা (প্যাপিরাস), মুনাজাত মঞ্জুষা, বাংলাদেশের দুঃখের বিচার অন্যতম।