জেলার পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কাপাসিয়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সোমেশ^রী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে সোমেশ^রী ব্রিজ ও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার গ্রাম গুলো হুমকির মুখে পরেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী মহলের সাথে ঐক্য বদ্ধ হয়ে ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারি কর্মকতার সহযোগীতায় লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু বালু ব্যবসায়ী বছরের পর বছর সোমেশ^রী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে। পূর্বধলা ও দুবাউরার ও হালুয়াঘাটের সাথে যোগাযোগের একমাত্র ব্রিজটির নিচ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে কাপাসিয়া ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে। এই নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হচ্ছে না বলে সংবাদকর্মীদের নিকট শরণাপন্ন হয়ে জানিয়েছেন বুক্তভুগী এলাকাবাসী। একটি প্রভাবশালী মহল সেন্ডিকেট এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করিয়া ব্যবসা করে আসছে। এর সাথে রয়েছে মেসাস সুরাইয়া এন্টারপ্রইজ এর মালিক মোঃ লুৎফুর রহমান, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ আব্দুর রাশিদ, মোঃ নাজিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও আবুল কাশেম ড্রেজার বসিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন করে আসছে। সোমেশ^রী নদীর তীরে অবাধে বালু উত্তোলন করাতে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদীর পাড় ঘেষে বড় বড় গর্ত তৈয়ার করে বালু উত্তোলন করাতে নদীর আশপাশের গ্রামের বাড়িঘর ঝুকিপূণ্য হয়ে পড়েছে। নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গ্রাম গুলোর মধ্যে রয়েছে কাপাসিয়া, ঘাগড়া, সোনাইকান্দা, লেডিকান্দা, কতুয়ারী, উত্তরপাড়া, গিরিয়াসা, কচুয়াখালী সহ ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম ঘেষে ওয়াটার অফদার রাস্তা ভেঙ্গে নদীর সাথে মিশে যাচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগীদের নিরব কান্না কেউ শুনতে পারছেনা। এই মুহূর্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নিলে আর এই ভাবে বালু উঠানো চলতে থাকলে মানুষ বাড়ি ভিটে হারা হয়ে রাস্তায় নেমে পরবে। এক সময় সোমেশ^রী নদীর উপরে থাকা ব্রিজটি ভেঙ্গ হালুয়াঘাট ও দুবাউরা উপজেলার সাথে নেত্রকোনার যোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সুযোগ্য জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি।