ঐতিহাসিক যশোর স্টেডিয়ামে স্মরণকালের বৃহৎ জনসভায় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনার অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসনে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’ তিনি আরো বলেন, যশোর মেডিকেল কলেজের ৫শ’ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুতই সেখানে হাসপাতাল নির্মাণ শুরু হবে। আর স্টেডিয়ামের অবস্থা খুবই খারাপ। জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যালারিকে আমরা ১১ স্তর বিশিষ্ট অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম করে দেবো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩ টায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোরের অভয়গরে ইপিজেট নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে ৫শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে বহু মানুষের কর্মস্থান হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। যুব সমাজের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। শুধু চাকরি খুঁজলে হবে না। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়া যাবে। যুবকদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কেউ বেকার থাকবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছি। দেশের সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন সাজাপ্রাপ্ত নেতা দেশকে কী দিতে পারে, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে। সেই কারণে বিএনপির প্রধান নেতা আজ সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত নেতা দেশকে লুটপাট ছাড়া আর কী দিতে পারে বলেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করেছি। যশোরে আমাদের সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কৃষকের সব রকম সুযোগ করে দিয়েছি। ১০ টাকায় আজ কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। ১৫ ও ৩০ টাকা কেজি দরে গরিব মানুষ আজ চাল পাচ্ছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির সঞ্চালনায় জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, যশোর সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদসহ বিভন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, অনেকে এখন রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করছে। অথচ আমাদের সরকার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়েছে। আর কোনো সরকার রিজার্ভ বাড়াতে পারেনি। পর্যাপ্ত রিজার্ভ হাতে রেখেই সব কাজ করছি আমরা। রিজার্ভের কোনো সমস্যা নেই, আমাদের সব ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছে। সামনের দিনেও কোনো সমস্যা হবে না।