গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের চিতশী গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের ছেলে আজিজুল হাওলাদারের সাথে পাশ^বর্তী কাঠিগ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে মফিজুর রহমান কালুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত শনিবার (৩ডিসেম্বর) আজিজুল হাওলাদারসহ তার লোকজন মফিজুর রহমান কালুর লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় আজিজুলসহ ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার কারণে আজিজুল হাওলাদার তার মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে বলে জানিয়েছেন মফিজুর রহমান কালু। তিনি বলেন, একটি সত্য ঘটনাকে ঢাকতে মিথ্যা মামলা দিয়ে আজিজুল হাওলাদার আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি। এ বিষয়ে আজিজুল হাওলাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি কাঠিগ্রামের জনৈক নান্নু হাওলাদার ও মিকাইল শরীফের ৭ একর জমির একটি মাছের ঘের ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। গতকাল সোমবার রাতে মফিজুর রহমান কালু ও তার লোকজন আমার ঘেরে বিষ দেয়। এ সময় আমার ঘেরের পাহারাদার জোনায়েত উল্লা মফিজুর রহমান কালুকে দেখে ফেলে। এই বিষ প্রয়োগে আমার ঘেরের ৩৫লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে। এ ঘটনায় আমার মা কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, মফিজুর রহমান কালু সাথে আজিজুল হাওলাদারে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের কারণে গত শনিবার (৩ডিসেম্বর) আজিজুল হাওলাদারসহ তার লোকজন মফিজুর রহমান কালুর লোকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটতে পারে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।