জামালপুরের বকশিগঞ্জে আলীরপাড়া এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়েও। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে গোপনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে কোনো তথ্য নেই। এমনকি এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যরা তো জানেনই না, জানেনা ছাত্রছাত্রী কিংবা অভিভাবকরা। এছাড়া গণমাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও চোখে পড়েনি কারো। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়েও। তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম তাঁর পকেট কমিটি গঠন করেছেন। প্রচার-প্রচারণা কিংবা ভোটাভুটি নয়, সিলেকশনের মাধ্যমে এ কমিটি গঠিত হয়। এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরোয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ে কবে কী হয় তা কেউ জানেনা। গোপনে সবকিছু সম্পন্ন করেন প্রভাবশালী সভাপতি আলহাজ্ব গাজী আমানুজ্জামান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। বর্তমান কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধিদেরও তারা জানান না কিছুই। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে আপনাদের (সাংবাদিক) কাছেই প্রথম শুনলাম। এর আগে সবার অগোচরে ম্যানেজিং কমিটি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক তাঁর পকেটের লোকজন দিয়ে একটা পকেট কমিটি করেছেন।চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয় দৈনিকে এ বিষয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। যথাসময়ে পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। উৎকোচের মাধ্যমে ও গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কোনো প্রশ্নই ওঠেনা। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, সিলেকশনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়েছে, এটা সত্য। একাধিক প্রার্থী না থাকায় ভোটাভুটি হয়নি। ম্যানেজিং কমিটি গঠনকালে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।এ বিষয়ে জানার জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গাজী আমানুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সরোয়ার আলম জানান, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই গঠিত হয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে যদি কোনো অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও উৎকচোর ঘটনা ঘটে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।