শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

ডাল কাটার টেন্ডারে গাছ কেটে সাবাড়

কামরুল ইসলাম (মীরসরাই) চট্টগ্রাম :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

মীরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের চতৈন্যেহাট মস্তাননগর বাইপাস থেকে বারইয়ারহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের দুপাশের পুরাতন ঝুঁকিপুর্ণ গাছের ডালপালা কাটার টেন্ডার দেওয়া হলেও বিভিন্ন গাছ কেটে নেওয়ার অভিযাগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ঝূঁকিপূর্ণ গাছগুলোর ডালপালা এবং মরা গাছগুলো কাটার জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) বক্ষ পালন উপবিভাগ। চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দরপত্র আহ্বানের পর ঠিকাদারিত্ব পেয়েছেন নারায়নগঞ্জের মো. শহীদ নামর জনৈক ব্যক্তি। দরপত্র বিজ্ঞপ্তির আওতায় থাকা এলাকা হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের বারইয়ারহাট থেকে চৈতন্যহাট বাইপাস পর্যন্ত ৮ কি.মি এবং জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক ৭ কি.মি। এই সড়কগুলোর পাশে থাকা বিভিন্ন প্রকার গাছের ঝূঁকিপূর্ণ ডালপালা এবং মরা গাছগুলা কাটার নির্দশনা রয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে কার্যাদেশ প্রদানের ২০ দিনের মধ্য উক্ত কাজ সম্পূর্ণ করতে। কার্যাদেশ ব্যতীত অন্যকান গাছ কাটা যাব না বলেও উল্লেখ্য রয়েছে। অন্যগাছ কাটা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারের লোকজন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি গাছের ঢালপালা ও মরাগাছ কাটার কাজে নিয়াজিত রয়েছেন। ২০ দিনের সময় নির্ধারণ করা হলেও গত প্রায় ২ মাসের বেশি সময় ধরে উক্ত কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে তারা বড় আকারের কড়ই গাছ, জাম গাছ ও বজ্রপাত সহায়ক তাল গাছসহ বেশ কয়কটি স্থান থেকে জীবিত অনেক গাছ কেটে নিয়েছে। এছাড়া ডালপালা কাটার নাম তারা ঝুঁকিপূর্ণর বাইরে থাকা অনেক গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যায়। বিশেষ করে পুরাতন কড়ই গাছগুলোর মোটা ঢালপালাগুলো এমন ভাবে কাটা হয়েছে ঐ গাছগুলো বেঁচে থাকার অবস্থাও নেই। এভাবে ঢালপালা কাটায় পুরানা গাছগুলো মারা যেতে পারে। ফলেই অচিরেই সড়কগুলো বৃক্ষশুন্য হওয়ার আশংকা রয়েছে। ঠিকাদারের শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদার শহীদের নিকটাত্মীয় জনৈক ইসলাম এই কাজগুলোর তদারকি করছেন। এই বিষয়ে ঠিকাদার শহীদের মুঠাফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার প্রতিনিধি ইসলামের মুঠোফানে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ঠিকাদার বলে দাবী করেন। এছাড়া তিনি তার ছোট ভাই একাত্তর টিভি সাংবাদিক বলে দাবি করেন। এই প্রতিবেদককে ম্যানজ করা চেষ্টা করেন এবং প্রতিবেদকে তার মোবাইল নাম্বার বিকাশ নাকি নগদ জিঙ্গেস করেন। এছাড়া এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য কয়কজন স্থানীয় সংবাদ কর্মীকে অর্থের বিনিময় ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। গাছ কাটার প্রশ্নে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগর (সওজ) উপ-বিভাগীয় বৃক্ষ পালন বিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজন কয়কটি কাটছে বলে শুনেছি। গাছের ডালপালা কাটার বিষয়টি আমরা তদারকি করছি। টেন্ডারর শর্ত ভঙ্গ হলে তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com