বাংলাদেশে এখন একাত্তরের মার্চ মাসের মতো অবস্থা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, সরকারের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকা- এদেশের জনগণ কখনো বরদাশত করবে না। আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করেন। নয়তো সামাজিক পরিস্থিতি কারো নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই বিবৃতি দেন ড. অলি আহমদ।
বিবৃতিতে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশের সংবিধান অনুসারে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যাংক ডাকাতি, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বিচার বিভাগের বিপর্যয়, গণতন্ত্রের বিপর্যয় সর্বোপরি সামাজিক বিপর্যয় রোধ করার জন্য নিশিরাতের অবৈধ সরকারকে কিছু পরামর্শ দেয়ার জন্য একত্রিত হয়েছিল। তাদের উপস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু হঠাৎ অযাচিতভাবে বিনাপ্ররোচনায় পুলিশ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুণ্ডারা প্রকাশ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে।’
অলি আহমদ আরও বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে তাদের গুন্ডা বাহিনী শত শত গাড়িতে আগুন লাগিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। তখন সুকৌশলে পুলিশের সাহায্যে সমস্ত দোষ বিএনপির ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কোনো বাস পোড়ানো বা সংঘর্ষে জড়িত ছিল না।’
বিগত ৭ দিন ধরে পুলিশ বাহিনী হিটলারি কায়দায় ইসরায়েলের বর্বর বাহিনীর মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করছে’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইতিমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা রুজু ও গ্রেপ্তার করেছে।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আল্লাহকে ভয় করেন। মিথ্যা বলা বন্ধ করেন। অন্যায় ও মিথ্যার আশ্রয় নেয়া বন্ধ করেন।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির নামে আজকের এই খেলা খেলা ভাব কয়েক দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে।’ বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সারাদেশে যে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করেছেন, পুরো বাংলাদেশে তা হয়তো বিশাল অগ্নিকা-ে রূপ নিতে পারে। কারণ এই বাংলাদেশ আমরাই স্বাধীন করেছি। কারো দয়া দাক্ষিণ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই। জাতির এই দুর্দিনে নীরব ভূমিকা পালন করা কাফেরের কাজ হবে। দেশকে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ।’ সরকারের উদ্দেশে অলি আরও বলেন, ‘যদি সৎ সাহস থাকে পেটুয়া বাহিনী এবং পুলিশকে বাদ দিয়ে রাস্তায় নামেন। বিরোধী দলগুলোর শক্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হন। বিএনপির যে সকল নেতাকর্মীকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের পরামর্শ দিচ্ছি।’
‘সরকারকে বলব, আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করেন। গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। নিরাপদে সরে পড়েন। অন্যথায় আপনাদের প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে আপনারাই নিপতিত হবেন। এটা নিশ্চিত।’