বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী, কল্যাণকামী ও গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে জামায়াত সাধ্যমত জনগণের পাশে থাকে বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন। শহর আমির অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সর্বমোট ১০০ জনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গণমানুষের সকল সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণ রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সাংগঠনিকভাবে পালন করা সম্ভব না হলেও জামায়াতে ইসলামী নিজেদের সামর্থমত জনগণের সমস্যা সমাধানের বরাবরই চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু জুলুমবাজ সরকার জামায়াতের জনহিতৈষী কাজে সব সময় বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান সিলেটে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু সরকার এই মহৎ জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে মামলা দিয়ে কথিত রিমান্ডের নামে নাজেহাল করছে। তার বিরুদ্ধে কল্পিত অভিযোগ জনগণের কাছে কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
তিনি সরকারকে অপরাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণই এই বরেণ্য জাতীয় নেতাকে মুক্ত করেই ছাড়বে-ইনশাআল্লাহ।
ড. এম আর করিম বলেন, সরকার কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবিকে পাশ কাটানোর জন্য নানাবিধ ফন্দি-ফিকির শুরু করেছে। তারা চলমান গণআন্দোলনকে ব্যর্থ ও বিভ্রান্ত করার জন্য সারা দেশেই গণগ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। গায়েবি মামলাসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলাগুলোও সক্রিয় করে তাদেরকে ঘরছাড়া করা হচ্ছে। তারা বিদেশী কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগিদের কোনো কথায় কর্মপাত করছে না বরং কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে তাদেরকে নানাভাবে অপমানিত করা হচ্ছে। ফলে বহিঃর্বিশ্বে রাষ্ট্রের সম্মানহানী ঘটছে। তিনি সরকারকে টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। অন্যথায় তাদেরকে ইতিহাসের প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে।