সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

ফুটবল খেললে বিয়ে হবে না: শামসুন্নাহার

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৩

ফুটবলে মেয়েরা পেয়েছে অভাবনীয় সাফল্য। গত বছর সেপ্টেম্বরে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জিতেছে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। শিরোপা জিতে সাবিনা-শামসুন্নাহাররা এখন সবার চোখে মধ্যমণি। তবে এই পর্যন্ত আসতে যে সবারই নানান ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, তা এখন অনেকেরই জানা। ঢাকা লিট ফেস্টে এসে সাফ জয়ী তারকা শামসুন্নাহার জুনিয়র নিজের জীবনের কষ্টার্জিত খণ্ডখণ্ড চিত্র তুলে ধরেন।
বাংলা একাডেমির লনে মঞ্চে বসে শুরুতে জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড বলেন, ‘এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। সাফ জিতে আসার পর দেশে ফিরে বুঝতে পেরেছি এই দেশের মানুষ ফুটবল কতোটুকু ভালোবাসে। ভালোবাসে আমাদেরকেও। যখন এসেছি তখন পুরো ঢাকা শহর ঘুরেছি। সবাই আমাদের বরণ করছে। জীবনে অন্যতম স্মরণীয় একটি দিন সেটা।’ দর্শকরা এই কথাতে হাততালি দিয়ে যেন আবারও তাদের অভিনন্দিত করলেন।
ময়মনসিংহের কলসিন্দুর থেকে উঠে আসা শামসুন্নাহার নিজের উঠে আসার কাহিনী শোনাতে গিয়ে যেন পেছনে ফিরে গেলেন, ‘বঙ্গমাতা ফুটবল দিয়ে শুরু করেছিলাম। স্যাররা খেলোয়াড় বাছাই করতো। মজায় মজায় খেলে শুরু করেছি। ভাবতাম খেলবো আবার বাসায় চলে যাবো। ফুটবলটা বোঝার চেষ্টা করেছি তখন। যখন একটু একটু বড় হচ্ছি, তখন বাসা থেকে বলতো আর যেও না। এটা মেয়েদের খেলা নয়। বাড়ি থেকে বকা দিতো। তখন লুকিয়ে লুকিয়ে ব্যাগে বল নিয়ে যেতাম। বাসায় দেরিতে যাওয়ার কারণে মারও খেয়েছি।’
বাসা ও অন্যদের কাছ থেকে আরও কটু কথা শুনতে হয়েছে তাকে, ‘বলতো এটা খেললে পাপ হবে। ২০১৭ সালে জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পাই। বাসা থেকে ক্যাম্পে চলে এসেছিলাম। বাসা থেকে দুয়েকদিন পরই বলতো চলে আসো। বলতো ফুটবল খেললে বিয়ে হবে না। আমি বলেছি বিয়ে না হলে না হবে। তারপরেও আমি খেলবো। আসলে গ্রামের মানুষ অনেক কিছু বুঝতো না। তাদের অনেকেই বাসায় বাবা-মাকে বোঝাতে আমাকে যেন খেলতে না দিতে। আর হাফ প্যান্ট পরেই বা কেন খেলবো। তাও বলতো।’ সাফ জেতার পর পরিস্থিতি একদম পাল্টে গেছে। যে শামসুন্নাহাররা বকা শুনতো, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেলতো- তারাই সাফল্যের পর উল্টো চিত্র দেখেছে।
শামসুন্নাহার বলেন, ‘এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাসায় গেছি। তখন আমাকে দেখতে এসেছে সবাই। বাসায় ভিড় জমে গিয়েছিল, সবাই আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছে। পেছনের গল্পটা শুনতে চেয়েছে। আসলে সবকিছুই এসেছে সাফল্য প্রাপ্তির পরই।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com