শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

পায়রা সমুদ্রবন্দর: উন্নয়নে দখিনের জানালা

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৩

উন্নয়নের মহাসড়কে যোগ হতে যাচ্ছে অমিত সম্ভাবনাময় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব এক সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর। মেরিটাইম বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই উপমহাদেশে তিনিই প্রথম দেশের জন্য নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবি করেন। কালের ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্রবিজয়ের হাত ধরে মেরিটাইম বাংলাদেশের প্রকৃত যাত্রা শুরু হয়েছে। ফলে সুনীল অর্থনীতির এক অভূতপূর্ব সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর উপকণ্ঠে রাবনাবাদ চ্যানেল বরাবর গড়ে উঠেছে দেশের তৃতীয় এই সমুদ্রবন্দর। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন। অতঃপর অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত হলে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরটিতে প্রথম বারের মতো কনটেইনার জাহাজ নোঙর করতে শুরু করে। মূলত উদ্বোধনের পর থেকেই সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানিসহ বহির্নোঙরে অপারেশনাল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে ১৬৯টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের অপারেশনাল কার্যক্রম সম্পন্ন করে ৩৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য বেলজিয়ামের ‘জান ডি নুল’ কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশের রিজার্ভের অর্থাৎ ‘বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের’ প্রথম প্রকল্প চুক্তি। এই চুক্তির ফলে ৫৩ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় হবে এবং অর্থনীতিকে আরো উজ্জ্বল করবে।
বর্তমানে কনটেইনার টার্মিনাল, বাল্ক টার্মিনাল, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, মডার্ন সিটি, বিমানবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদিসহ ১৯টি কম্পোনেন্টের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যে পায়রাকে বিশ্বমানের একটি আধুনিক বন্দর এবং ২০৩৫ সাল নাগাদ একে এক বৃহত্তর আর্থিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
রাবনাবাদ চ্যানেলের পোতাশ্রয় মুখ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রকৃতি ও ভৌগোলিকতার নিরিখে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য উপযুক্ত একটি অঞ্চল। অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্যও রয়েছে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান। ফলে কনটেইনার, বাল্ক, কার্গো, এলএনজি, পেট্রোলিয়াম ও যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাকশিল্পের কারখানা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, সার কারখানা, তেল শোধনাগার, ওষুধ, সিমেন্ট ও জাহাজনির্মাণ শিল্পসহ বিবিধ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বর্তমানে চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ সার দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি ৭০ শতাংশ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা গেলে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে সার কারখানা চালু করা সম্ভব হবে। ফলে দেশের সারের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি এতদঞ্চলে সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
পায়রা বন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বাসস্থান নির্মাণ করে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪৮৪ একর ভূমিতে ১৪টি প্যাকেজে মোট সাতটি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪২৩টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম, একটি কিচেন ও একটি বারান্দা; যার মধ্যে অ্যাটাচড বাথরুমসহ একটি মাস্টার বেডরুম রয়েছে। প্রতি চারটি বাড়ির জন্য একটি সেপটিক ট্যাংক (৫০ জন ব্যবহারকারীর ধারণক্ষমতাসম্পন্ন) রয়েছে এবং প্রতিটি বাড়িতে ওভারহেড ওয়াটার ট্যাংকের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তা, স্কুল, মসজিদ, বিদ্যুৎ, মার্কেট, পুকুর, খেলার মাঠ, পরিবেশবান্ধব সামাজিক বনায়নসহ অন্য সব সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় মোট ৪ হাজার ২০০ জনকে ২২টি ট্রেডে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৯৭৫ জন বিভিন্ন ট্রেডের ওপর আয় বৃদ্ধিমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বেসিক কম্পিউটার, ওয়েলডিং, মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ/লেদ মেশিন, মোবাইল সার্ভিসিং ও রিপেয়ারিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ফলে স্থানীয় জনগণের উপার্জন বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার মানও উন্নত হচ্ছে।
পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ইপিজেড, এসইজেড, জাহাজনির্মাণ ও মেরামত খাতে ব্যাপক কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। পোশাকশিল্পের মতোই গতিশীল হচ্ছে জাহাজনির্মাণ শিল্প। ফলে এখানে জাহাজনির্মাণ শিল্পেরও প্রসার ঘটবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হতে চাই আমরা। ফলে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্যেই উপকূলবর্তী অঞ্চলে পাঁচ-ছয়টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। পায়রা বন্দরে ইতিমধ্যে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে। কয়লা আনলোড করার জন্য একটি কয়লা টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত ও চীনের সমন্বিত উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গড়ে উঠেছে ইকোনমিক করিডর। সমুদ্রের সন্নিকটে নির্মিত বন্দর বলে প্রতিবেশী দেশগুলো পায়রা থেকে ট্রানজিট-সুবিধা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এছাড়া সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিল্করুটের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পায়রা বন্দর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হয়ে ওঠারও অনন্য সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
সমুদ্রসম্পদে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। ২০১৪ সালে ১৯টি দেশের ৩২ জন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি নিয়ে ঢাকায় ব্লু ইকোনমির ওপর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগরকে আমাদের তৃতীয় প্রতিবেশী হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, সমুদ্রপথে ব্যবসার পরিধি বিস্তার, সাগরের খনিজ সম্পদ কাজে লাগিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন, সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে পারলেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার জলসীমার ওপর আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সমুদ্রতলদেশে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার এলাকার জৈব-অজৈব সব সম্পদের মালিকানা এখন আমাদের। প্রায় ২০০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে এখানে। পায়রা বন্দর প্রতিষ্ঠা হলে ব্লু ইকোনমি, অর্থাৎ সুনীল অর্থনীতির গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রসম্পদ আহরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
পদ্মা সেতুকে কানেক্ট করে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা সৈকত পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। ফলে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সুগম হবে দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ। অতঃপর রেলপথের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে যুক্ত থাকবে পায়রা বন্দর। একটি বিমানবন্দর গড়ে উঠবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। ফলে পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাবলম্বী এক প্রাণকেন্দ্র। বহির্নোঙরে ক্লিংকার, সার ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ আনয়ন ও লাইটার জাহাজের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করার জন্য পায়রাকে কাস্টমস শুল্ক স্টেশন হিসেবে ঘোষণা, জনবল নিয়োগ, শিপিং এজেন্ট নিয়োগ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিয়োগ ও বন্ডেড এরিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি শেরেবাংলা নির্মিত হলে বন্দরের নিরাপত্তা অধিকতর সুরক্ষিত হবে।
বরিশাল বিভাগীয় অঞ্চল ঘূর্ণিঝড় ও জলোছ্বাসকবলিত এলাকা। পায়রা বন্দর প্রকল্প চালু হলে একে ঘিরে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। ফলে প্রতিহত হবে ঝড়ের আঘাত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। উপরন্তু, এখানে উপকূলজুড়ে গড়ে তোলা হবে সবুজ বেষ্টনী ও ইকো-ট্যুরিজম। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কমপ্লেক্স নির্মাণ, জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপন, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ, জেটি/ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ, ইকো পার্ক/ফরেস্ট গড়ে তোলা, মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ, সি অ্যাকুরিয়াম নির্মাণ, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণ, গলফ ও টেনিস কমপ্লেক্স নির্মাণ, কনভেনশন সেন্টার নির্মাণসহ বহু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ড্রেজিং কোম্পানি বেলজিয়ামের ‘জান ডে নুল’-এর ড্রেজার বহরে রয়েছে সর্বাধুনিক ও পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কাটার সাকশন ড্রেজার ও ট্রেইলিং সাকশন হপার ড্রেজার। বর্তমানে এই বন্দরের চ্যানেলের গভীরতা ৬.৩ মিটার, যা বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)-এর অর্থায়নে কৃত ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এছাড়া পায়রা বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় অদূর ভবিষ্যতে চ্যানেলের গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নিত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাস্তবায়ন কিছুটা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় মধ্যবর্তী সময়ের রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেলের বর্তমান গভীরতা ৬.৩ মিটার বজায় রাখাই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। রাবনাবাদ (ইনার ও আউটার) চ্যানেলের প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট চ্যানেলে আনুমানিক ৯.৭৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি অপসারণ করে চ্যানেলের ৬.৩ মিটার গভীরতা বজায় রাখা হবে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৩৭.৩০ কোটি টাকা এবং প্রকল্পটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুদানে গঠিত পায়রা বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে সংকুলান করা হবে। ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিংটি সম্পন্ন হলে চ্যানেলের গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হবে। ফলে সহজেই অধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করা যাবে এবং বন্দরকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হলে বন্দরে ৩ হাজার টিইইউ বা ৪০ হাজার ডিডব্লিউটি কার্গো বহন ক্ষমতাসম্পন্ন বড় বাণিজ্যিক জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। ধারণা করা যায়, এই বন্দর প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যে গতি সঞ্চার হবে, তাতে দেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনের পথে দেশ এগিয়ে যাবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এই বন্দর বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। লেখক : প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com