বগুড়ার আাদমদীঘিতে অবৈধ ট্রাক্টর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মাটি বহন করায় তা সড়কে পড়তে থাকে এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই উপজেলার বিভিন্ন সড়ক কাদায় পরিণত হয়। দেখে বোঝার উপায় থাকেনা সেগুলো পাকা না কাঁচা সড়ক। বেশির ভাগ সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই ট্রাক-ট্রাক্টর চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এসব যান চলাচল করায় যান গুলো থেকে মাটি সড়কে পড়ে এবং এরপর বৃষ্টি হলেই তা কাদায় পরিণত হয়। সামান্য বৃষ্টির পর উপজেলার বিভিন্ন সড়কগুলো যেন কাদার স্তুপে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সান্তাহার-নাটোর বাইপাস রোড, ছাতিয়ান গ্রাম রোড, চাঁপাপুর রোড, কুন্দগ্রাম রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক এখন কাদার সড়কে পরিণত হয়েছে। পথচারীরা কাদা মাটি গায়ে লাগার ভয়ে চলাচল করতে পারছে না। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। রানীনগর থেকে সান্তাহারে আসা মোটরসাইকেল আরোহী জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন মেয়েকে সান্তাহাওে একটি কোচিং সেন্টারে পড়াতে নিয়ে আসি। কিন্তু এই রাস্তায় অবৈধ ট্রাক-ট্রাক্টর চলাচলের কারণে কী যে কষ্ট হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। এ ছাড়া অসময়ের বৃষ্টির কারণে দেখে বোঝার উপায় নেই এই সড়কগুলো পাকা না কাঁচা সড়ক। বৃষ্টির কারণে মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকবার কাদায় পড়ে গেছি। মোটরসাইকেল আরোহী ফিরোজ খান বলেন, ইটভাটা ও জমি কেটে পুকুর খননের পর ট্রাক্টরে করে মাটি বহনের সময় রাস্তায় পড়ে যায়। সেই মাটি রোদে শুকিয়ে ধুলো হয় আর বৃষ্টি হলে তা কাদায় পরিণত হয়। যা দেখে বোঝার উপায় থাকে নাএটা কার্পেটিং রাস্তা। এতে সড়কগুলোতে চলাচল করতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। সান্তাহার মানবাধিকার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র প্রসাদ গুপ্তা বলেন, জন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক গুলোতে যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ কওে আগামী বর্ষা মৌসুমে অবস্থা আরও খারাপ হবে।
এ জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সড়কে এগুলো যানবহন আমরা যখন দেখি তখন নোটিশ করি। এ ছাড়া এই গাড়িগুলো যখন রাস্তায় উঠে তখন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীরও একটা দায়িত্ব আছে। তবে এ ব্যাবপারে সবার সচেতন হওয়া দরকার।