গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর দেশে ফিরেছেন। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জান্তিক বিমানবন্দরে আসেন। দুপুর ১২টার পর ইমিগ্রেশন পেরিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হন তিনি। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক আবু হানিফ এ তথ্য জানান। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল নুরুল হক নুরের। তবে কর্মসূচি আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় নুর সেখানে যাননি। কিছুক্ষণ পর গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন তিনি। ডিসেম্বরের শেষদিকে কাতারে যান নুর। পরে দুবাই হয়ে সৌদি আরব যান ওমরাহ করতে তিনি। এ সফরের মধ্যেই গত ২৯ ডিসেম্বর দুবাই থেকে জেদ্দা যাওয়ার পথে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেন। এ সফরে তিনি দলের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করছেন বলেও জানান। এরপর থেকেই তার এ সফর ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
আমার বিরুদ্ধে একটা গুরুতর ষড়যন্ত্র হয়েছিল:
ইসরাইল রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির কিংবা তাদের অন্য কারো সঙ্গে কোনো মিটিং হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বুধবার দেশে ফিরে নিজ দলীয় কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যদিয়ে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নাই। আমার সাথে মেন্দি এন সাফাদির কিংবা ইসরাইলের কোন গোয়েন্দা সংস্থার কারো সাথে মিটিং হয় নাই। বরং আপনাদের প্রশ্ন করা উচিত বাংলাদেশের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসি ইসরাইল থেকে যে গোয়েন্দা নজরদারি ডিভাইস কিনেছে সেটি তারা কিভাবে করেছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা গুরুতর ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্রটি ছিল আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে আমি যেন দেশে আসতে না পারি তার একটি বন্দোবস্ত করতে চেয়েছিল। তারা এই ষড়যন্ত্র করে তাদের নিয়ন্ত্রিত ও তাদের অনুগত মিডিয়ার মাধ্যমে আমার বক্তব্য না নিয়ে প্রতিনিয়ত সিরিজ প্রতিবেদন করে তারা প্ররোচনা চালিয়েছে। আমি খুব বিষ্মিত হয়েছি।