একটি সেতুর অভাবে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঝিলতলী এলাকা ও ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দাঁতমারা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত ছিল অনেকটা বিচ্ছিন্ন। বর্ষায় পাহাড়ী কর্দমাক্ত পথ মাড়িয়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বয়োবৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী এবং রোগীদের চলাচল ছিল প্রায় অসম্ভব। তাই একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের এ দাবি পূরণ হয়নি। জানা গেছে, মিরসরাই সীমান্তবর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের কয়লা ছরার ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি পূরণ করেননি। ওই ছরার ওপর দিয়ে মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার জিলতলি, বান্দরমারা (একাংশ) সুবলছড়ি, কালাকোমা, মরা কয়লা, পূর্ব সোনাই (একাংশ) মোহাম্মদপুরসহ প্রায় ১০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সেতু না থাকায় এসব এলাকার মানুষকে বর্ষায় কাদা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। স্থানীয়দের যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে শিল্পপতি মেহেদী হাসান বিপ্লব ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে উক্ত কাঠের সেতুটি উদ্বোধন করেন শিল্পপতি মেহেদী হাসান বিপ্লব, এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কয়লা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, ঝিলতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফ হোসেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের করেরহাট ইউনিয়নের শাখার শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফাসহ প্রমুখ। স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্র রুমন ইসলাম জানান, শুষ্ক মৌসুমে ছড়া দিয়ে চলাচলে তেমন অসুবিধা না হলেও বর্ষাকালে শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ্য সামসুল হক(৮৫) ও কাদের মিয়া(৭০) জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়লা ছরার ওপর দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি। তাই মেহেদী হাসান বিপ্লবের করে দেয়া কাঠের সেতুই এখন এলাকাবাসীর ভরসা।