সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

হাজী সেলিম জামিনে মুক্ত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দ-প্রাপ্ত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, দুপুর ১টায় ডেপুটি জেলার সেলিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি টিম হাজী সেলিমের জামিনের কাগজপত্র নিয়ে বিএসএমএমইউতে প্রবেশ করেন। পরে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে সরিয়ে নেয়া হয় কারা পুলিশের নিরাপত্তা। জামিনে মুক্তি পেলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতাল ছাড়েননি সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য। কিছুক্ষণের মধ্যে হাসপাতাল ছাড়ার কথা রয়েছে তার।
উল্লেখ্য, সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে বিচারিক আদালত দুদক আইনের দু’টি ধারায় হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া এই অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী গুলশান আরা সহযোগিতা করেছেন, এমন অপরাধে তাকে তিন বছরের কারাদ- দেন আদালত। এ ছাড়াও তাদেরকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রায় ২৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।
পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের সাজার রায় বাতিল ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে তাদের আপিলের ওপর পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মারা যান হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা। এছাড়া এ মামলায় হাজী সেলিম জামিনে ছিলেন।
আপিল বিভাগের নির্দেশের দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর দুদক হাজী সেলিমের আপিল দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। এরপর পুনঃশুনানি করে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১০ বছরের দণ্ড বহাল থাকলেও তিন বছরের সাজা থেকে খালাস পান তিনি। একইসাথে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছর সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। দুই বিচারপতির সইয়ের পর ৬৮ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই রায় অনুসারে গত ২২ মে আত্মসমর্পণ করেন আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য। সেদিন জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com