লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ হত্যার প্রতিবাদ,বিচার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসুচি পালন করে সর্বস্তরের মানুষ। বাজারের ব্যবসায়ীরা আয়োজন করে এই কর্মসুচির। মানববন্ধন শেষে বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ব্যবসায়ীরা। পরে মিছিল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে গিয়ে মিলিত হয়। নারী-পুরুষসহ সহস্রাধিক লোকজনের অংশ গ্রহণের পাশাপাশি নিহত হারুনের মা কহিনুর বেগম, বাবা আবদুল মান্নান, বোন জোসনা বেগম ও শান্তা আক্তার ও ভাই রিয়াজ হোসেন এতে অংশ নেয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি তমিজ উদ্দিন চৌধুরী, বাজারের ব্যবসায়ী সফি মাহমুদ মিজু,স্বপন পাটওয়ারী,মোবারক হোসেন পাটওয়ারী,আবদুল মতিন,নিয়াজ হোসেন ও মোরশেদ আলম প্রমুখ। বিক্ষোভ মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তারা বলেন, হারুন একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সে রসূলগঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ছিল। স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাকে খুন করা হয়েছে। তার ভায়রা জুয়েল, স্ত্রী মৌমুমী, শাশুড়ি খুকি বেগম ও শ্বশুর মনছুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখে। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশীর মাইচ্ছাখালী শ^শুরবাড়িতে মাংস ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে শ^শুরবাড়ির লোকজন। পরে মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আতœহত্যা বলে প্রচারনা চালায় তারা। অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। এঘটনায় স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী ও শ^াশুড়ী খুকি বেগমকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের বোন জোসনা বেগম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হারুনুর রশিদের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী,শ^াশুড়ী খুকি বেগম ও ভায়রা জুয়েলসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।