বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে চলছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৩। ছুটির দিনের বইমেলা মানে উৎসবের আমেজ যেন ধরে না! বাড়তে থাকে পাঠক-দর্শনার্থী সমাগম। আর ছুটির দিনগুলোর সকাল বেলা যেন একান্তই শিশুদের! তাই সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিন শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জমজমাট বইমেলার বিশেষ আয়োজন ‘শিশু প্রহর’। অভিভাবকদের সঙ্গে দল বেঁধে মেলায় আসে শিশুরা। তারা মেতে ওঠে শিশুদের জন্য মেলার প্রধান আকর্ষণ শিশুতোষ ধারাবাহিক ‘১২৩ সিসিমপুরের’ ইকরি মিকরি, হালুম ও শিকুর সঙ্গে। আনন্দ ও উচ্ছ্বাস নিয়ে এ আয়োজন উপভোগ করে শিশুরা। ছোটবেলা থেকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সন্তানদের নিয়ে সকাল থেকেই মেলায় ভিড় করেন অভিভাবকরা। শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কমিক্স চরিত্র, রূপকথা, গল্প ও ছড়ার বই। সকাল ১১টায় শুরু হয়ে এ আয়োজন চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। গতকাল শনিবার সকালে মেলার ফটক খোলার পর মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা অভিভাবকদের সঙ্গে মেলায় আসে শিশুরা। তারাও গুরুত্ব দেন শিশুদের পছন্দকে। তারা জানান শিশুদের আগ্রহের কথা।
একজন প্রকাশক জানান, শিশুরা গল্প আর কার্টুনের বই বেশি পছন্দ করে। শিশুদের বইয়ের দাম কম হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকাশনা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা দাম কমাতে পারছেন না। এ জন্য তাদের খারাপ লাগে।
‘ঝিঙেফুল’ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মিলি আফসারা বলেন, সকালে শিশুদের দেখতে ভালো লাগে। তাদের পছন্দগুলো বেশ মজার। শিশুদের বইয়ে খরচ বেশি হওয়ায় দামও একটু বেশি। টুকির সঙ্গে নাচতে আর রূপকথার গল্পের বই কিনতে বাবা আসাদ জামানের সঙ্গে মেলায় এসেছে সাত বছরের আরিয়ানা। সে বলে, মেলায় এসেই রূপকথার বই কিনেছি। সঙ্গে আব্বু আরও দুটি কবিতা ও গল্পের বই কিনে দিয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে। এখন টুকটুকির সঙ্গে নাচবো, মজা করবো, তারপর আব্বুর সঙ্গে বাসায় ফিরবো। প্রসঙ্গত, বইমেলায় শিশু চত্বরটি এবার রমনা কালী মন্দিরের প্রবেশ গেটের ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে। শিশু চত্বরে এবার ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।-বাংলাট্রিবিউন