আগামী ১৬ই মার্চ ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও মেয়র পদে দলের মনোনয়নের জন্য আশায় বুক বেঁধেছেন আওয়ামী লীগের ডজন খানেক নেতা। মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার আগেই তারা দৌঁড়াচ্ছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।
পৌর এলাকার অলিগলি, চায়ের দোকান, হাট-বাজারসহ সর্বত্র বইছে ভোটের হাওয়া। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের অতীত ও ভবিষ্যৎ করণীয় প্রচারপত্র নিয়ে পুরোদমে মাঠে-ময়দানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখনো মনোনয়ন নিশ্চিত না হলেও পৌসভার মেয়র পদে বড় দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যে যার মতো ভোটারদের দুয়ারে ছুটে চলেছেন। মার্চ এর মাঝামাঝিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই এর পাশাপাশি ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানারকম উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এ.কে জাহেদ চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ জাফল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার পাশা মেম্বার, সৈয়দ লুৎফুর রহমান(প্রবাসী) আলী আজম সাদেক, আনোয়ার হোসেন আজম, পৌর যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান। এছাড়া ত্বরিকত ফেডারেশন নেতা শাহজালাল। স্বতন্ত্র ভাবে ঝংকার সিনেমার মালিক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন নির্বাচনে লড়তে পারেন বলে জানা গেছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ই মার্চ নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ কাঁপানো নেতারা এখন স্নায়ুচাপে। নরম সুরে কথা বলছেন, শোনাচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতির বাণী। এবার নাজিরহাট মোট ভোটার ৪৩ হাজার ১শত ৭১জন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নাজিরহাট পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে ফেলেছেন। নিজেদের সুবিধামতো উঠান বৈঠকের আয়োজন করার পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন।