রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। গতকাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধামুর বোল্লারপাড় এলাকায় চাষাবাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম বাস্তবায়ন করলাম। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে বাংলাদেশ একই সমতলে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান রোপন। এটি একটি যুগান্তকারী পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কৃষকের খরচ কমবে, সময় বাচবে। কম খরচে কৃষক অধিক লাভবান হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, গঙ্গাচড়া উপজেলায় এবছর ১০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় সদর ইউনিয়নের ধামুর বোল্লারপাড় এলাকার ৫০ একর জমিতে স্থানীয় ৮৬ জন কৃষক মাটিভর্তি ট্রে-তে বপন করছে হাইব্রিড ময়না জাতের ধানবীজ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবারে এই উপজেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে হাইব্রীড ময়না জাতের বোরো ধান রোপন করা হচ্ছে। ৪ হাজার ৫০০ ট্রে-তে হাইব্রীড ধানের বীজতলা লাগানো হয়েছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে অর্থের অপচয় কম ও সময় সাশ্রয় হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার এর মাধ্যমে বপন, রোপন, কর্তন ও কর্ষণ সবগুলো হচ্ছে যান্ত্রিকভাবে। রোববার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও নাহিদ তামান্না সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাজু আহমে লাল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবিয়া বেগম লাল, গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল হোসেন, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, কৃষি স¤্রসারণ অফিসার এ কে এম ফরিদুল হকসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক-কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।