শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার ক্ষেত্রে যেন রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবিশন, কমার্শিয়ালাইজেশন এই পুরো পথটি বিবেচনায় রাখে। বাণিজ্যিকীকরণ পর্যন্ত না যদি যাওয়া যায়, নতুন মান অর্জনের ক্ষেত্রে যদি আমার শিল্পকে সহায়তা না করে সেই গবেষণার মূল্য থাকবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আশুলিয়ায় ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেনে তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, ভারতের হিমাচল প্রদেশের শুলিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য অধ্যাপক অতুল খোসলা। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার বিষয় তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গবেষণার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা গবেষণার জন্য অনেক বরাদ্দ দিচ্ছেন। আরও অনেক বরাদ্দ দেবেন। যত বেশি গবেষণা হবে, তত বরাদ্দ তিনি দেবেন। গবেষণা শুধু গবেষণার স্বার্থেই নয়, গবেষণা করলাম, গবেষণাপত্র রাখার তাকে ধুলো জমলো তাহলে লাভ নেই। গবেষণা, উদ্ভাবনকে ইনকিউবিশন ও কমার্শিয়ালাইজেশনে নিয়ে যেতে হবে। বাণিজ্যিকীকরণ পর্যন্ত যদি না যাওয়া যায়, নতুন মান অর্জনের ক্ষেত্রে যদি আমার শিল্পকে সহায়তা না করে তাহলে সেই গবেষণার মূল্য থাকবে না। আমি আশা করি—বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবিশন, কমার্সিয়ালাইজেশন এই পুরো পথটি বিবেচনায় রাখবে।’ শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় এখন যে অবস্থা, এখন যে দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবী তাতে অনেকগুলো পরিবর্তন আনতে হবে। সনাতনি চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন চিন্তা করতে হবে। মডিউলার এডুকেশনে যেতে হবে, ব্লেন্ডেড লার্নিং আরও বেশি চালু করতে হবে। আমাদের অনেক বেশি শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স দিতে হবে। যারা জনসম্পদে পরিণত হচ্ছেন তাদের আপস্কিল করতে হবে, রিস্কিল করতে হবে।’