চৌগাছা উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রার অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষীরা। গত মৌসুমের চেয়ে এবার ভুট্টার চাষও বেশি হয়েছে। রোগ বালাই কম হওয়ায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছে চৌগাছার কৃষক ও কৃষি অফিস। উপজেলার পৌরসভা সহ ৩ টি ইউনিয়নের মাটি ভুট্টা চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এছাড়া অল্পদিনেই অধিক লাভজনক হওয়ায় চাষীরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এদিকে অধিকাংশ কৃষক ভুট্টা চাষ করাই কৃষি বিভাগের লক্ষ্য মাত্রার অধিক জমিতে চাষ হয়েছে। চৌগাছা কৃষি অফিস উন্নয়ন বিভাগ থেকে কৃষি উপসহকারি রাশেদুল ইসলাম জানান, এই অর্থবছরে উপজেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ হেক্টর। চাষকরা হয়েছে ৪২০ হেক্টর জমিতে। যা আমাদের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তবে পৌরসভা, ও ৩ টি ইউনিয়ন (স্বরুপদাহ, নারায়ণপুর, ও হাকিমপুরে) এবং ফুলসারার কিছু জমি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এছাড়া উপজেলার অন্যান্ন এলাকায় কিছু ভুট্টা চাষ হয়েছে। এদিকে চুটারহুদা গ্রামের ভুট্টা চাষী মোঃ জামাল উদ্দিন, বলেন, ভুট্টা চাষ হলো কম খরচে বেশি লাভ জনক একটি ফসল। যা ৬ মাসেই লাভবান হওয়া যায়। ১বিঘা জমিতে সর্বসাকুল্যে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হয়। যেখানে ৪০ থেকে ৫০ মন ভুট্টার ফলন পাওয়া যায় । তাতে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হয়।বেশি ফলন পেতে কার্তিক মাসের মধ্যে ভুট্টার বীজ রপোন করলে ভাল ফলন হয়। তবে পুরো শীতের মধ্যে লাগানো যায়। ৯ ইি পর পর বীজ রোপণ করে,২২ ইি দুরত্ব নিয়ে লাইনে লাগাতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, কৃষি বান্ধব উপজেলা গড়তে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদন খরচ কমানো ও সার্বিক সহোযোগিতার বিকল্প নাই। আর এটা আমরা চেষ্টা করব। উপজেলা কৃষি অফিসার সমরেন বিশ্বাস বলেন
উপজেলা কৃষি অফিসার সমরেন বিশ্বাস বলেন, উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে কৃষকের আগ্রহ পরিশ্রম আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানোর দাবি উর্ধতন মহলে জানিয়ে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব। কেননা কৃষি অর্থ ব্যাবস্থা জোরদার করতে,যদি সরকারি কৃষি বিভাগ সার কিটনাশকের মুল্য কমিয়ে, উৎপাদন খরচ কমাতে পারে , এবং কৃষি উপসহকারী অফিসারদের মাধ্যমে সরেজমিনে তদারকির করা হয়। তাহলে কৃষি অর্থব্যাবস্থা আরও শক্তিশালী করা, ও অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব।