বর্তমানে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, মাছ, গোশত, মুরগী, ডিম এমনকি কাঁচা মরিচসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য লাগামহীনের ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে- মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষ এখন কুড়ানো চালে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছে। গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন টিসিবি’র পণ্য কিনতেও রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়, চাল না পেয়ে ট্রাকে পড়ে থাকা চাল কুড়িয়ে মানুষ যখন ক্ষুধা নিবারণ করতে চায়, তখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থ সরকার জনদুর্ভোগ বিরোধী ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে চায়।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণকে সাথে নিয়ে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন এবং বিএনপি’র নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ মিডনাইট সরকার মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ ও তাদেরকে গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের দলন-পীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে গায়েবি মামলা, গ্রেফতার, কারান্তরীণ, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তবে বর্তমান গণবিরোধী সরকারের স্মরণ করা উচিত যে, অতীতে যেমন কোনো স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেফতার ও নির্যাতন করে দমানো যায়নি, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না। সরকারি জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরো বেশি বলীয়ান হবে এবং অপহৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও দেশে সুশাসন নিশ্চিত করবে।’ অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবী মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি।