বাংলাদেশকে সমীহ করলেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বলেই নিজেদের এগিয়ে রাখলেন মইন আলি। এমনকি বাংলাদেশের বিরুদ্ধ আবহাওয়াকেও ভয় পাচ্ছেন না বলে জানান অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার, বরং সিরিজটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন তিনি। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আলোচনায় থাকা ইংল্যান্ড দল যে বাংলাদেশে ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে, তাও স্পষ্ট বলে দিয়েছেন মইন। মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করলেন মইন আলি। এমন উচ্ছ্বাসের পেছনে অবশ্য লুকিয়ে ছিল ভয়ও। দেশের মাটিতে যে বাংলাদেশ কতটা ভয়ংকর, তা নিশ্চয়ই মইন আলির অজানা নয়। ২০১৬ সালের পর দেশের মাটিতে যে কোনো ওয়ানডে সিরিজেই হারেনি বাংলাদেশ।
তাইতো বাংলাদেশকে সমীহ করে মইন বলেন,‘ উপমহাদেশে খেলতে আসলে এমনটা ভেবেই আসতে হবে যে ভালো স্পিনের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ দল হিসেবে খুব ভালো, বিগত কয়েক বছরে দল হিসেবে তারা অনেক উন্নতি করেছে। শুধু স্পিনাররাই না তাদের পেসাররাও মানসম্মত। আমরা আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে নামব। আমরা তাদের শক্তি সম্পর্কে অবগত। সেভাবেই প্রস্ততি নিয়েছি।
এদিকে স্পিন নিয়ে কতটা ভয় কাজ করছে ইংলিশদের, তা তাদের অনুশীলন দেখলেই প্রতীয়মান হয়। স্পিনের বিপক্ষে এমম বেশ তোড়জোড় প্রস্তুতি নিলেও পেস দিয়েই স্বাগতিকদের ঘায়েল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মইন আলি।
মইন বলেন, ‘আমাদের দলে তিনজন স্পিনার আছে। তবে বাংলাদেশ বলেই যে শুধু তিন স্পিনার এনেছি তা নয়। পেসারদের আমরা সবখানে নিয়ে যাই, কারণ তারা গতিময় বোলিং করে। যে কোনো উইকেটে ফাস্ট বোলিং দলের জন্য বিলাসিতা। অনেক সময় এমন মন্থর উইকেটেও ফাস্ট বোলিং খেলতেও অসুবিধা হয় প্রতিপক্ষের। কারণ ওরা শুধু ফাস্ট বোলার না, খুব ভালো মানের ফাস্ট বোলার। আর এটাই বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।’ এদিকে স্বভাবজাত আগ্রাসী ব্যাটিং ছেড়ে উইকেটের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাট করার ইচ্ছে প্রকাশ করে মইন বলেন, ‘পুরো বিশ্বজুড়েই আমরা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আসছি। তবে এখানে চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন, তাই ভিন্ন পরিকলনা নিয়ে মাঠে নামব। কিন্তু মানসিকতা একই থাকবে, কেউ বাজে বল দিলে যে কোনো উইকেটে অবশ্যই সেটা সবাই কাজে লাগাবে।’