সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জাল সই ও জাল দলিল করে অবৈধভাবে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল জবর দখলের প্রতিবাদ জানায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ ইউনিয়নের কালু পাড়া গ্রামে। সুর্য খাতুন(৫১) নামের এক জন ভুক্তভোগী বলেন, এই জায়গাটুকো একমাত্র সম্বল হিসেবে রাখার জন্য ভিক্ষা করে খেয়েছি। ভিক্ষা না পেলে চাল কল ঝাড়– দিয়ে ময়লা আবর্জনার মধ্যে থেকে চাল বাছাই করে ভাতের মার বানিয়ে সন্তানদের মুখে তুলে দিয়েছি। তাও লবন ছাড়া। কারণ লবন কেনার পয়সাও ছিলনা। এত কষ্টের জায়গাটুকো ভুয়া দলিল করে ও পেশী শক্তির বলে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রতিবেশী তমছের আলী ও তার ছেলে আব্দুল আলীম। এসব কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সুর্য খাতুনের স্বামী ফজর আলী(৫৪) বলেন, আমরা তিন ভাই। অপর দুই ভাইয়ের নাম আবু হানিফ(৫৭) ও কোবাদ আলী(৬২)। কালু পাড়া মৌজার কালু পাড়া গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সারে ১৫ শতক জায়গা আমাদের ছিল। ৩০ বছর আগে তিন ভাইয়ের দুই ছেলে ও এক মেয়েকে দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি। আমরা কেউ স্বাক্ষর দিতে পারিনা, টিপ সই ব্যতিত। কিন্তু তমছের আলী ও তার ছেলে আব্দুল আলীম আমাদের তিন সন্তানের জায়গা জাল স্বাক্ষর ও জাল দলিল করে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এরই মধ্যে তমছের আলী ও তার ছেলে আব্দুল আলীম আমাদের বসত ঘর ভেঙে দিয়েছেন। আরেক ঘর থেকে জোরপূর্বক বেড় করে দিয়েছেন। আমরা এখন প্রতিবেশী ও আত্মীয় সজনদের বাড়িতে রাত্রি যাপন করছি। কোবাদ আলী আরও বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলাও করেছি। কিন্তু বিবাদী তমছের আলী মূল দলিল আদালতে জমা না দিয়ে সময় ক্ষেপণ করছেন। এরই মধ্যে আমাদের জায়গাটুকো দখল করে নিয়েছেন। বাধা দিতে গেলে মারধর করেন। এদিকে অভিযুক্ত তমছের আলী ও তার ছেলে আব্দুল আলীম বলেন, তাদের কোনো মন্তব্য নাই। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবাহী ম্যজিস্ট্রেট মো. জেবাউল করিম বলেন, জায়গা নিয়ে যেহেতু আদালতে মামলা রয়েছে। পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দেব।