বন্যার প্রভাব মুক্ত বিরামপুর উপজেলায় আমনের ক্ষেত সবুজে ভরে উঠেছে। সুশোভিত আমনের ক্ষেতের আগাছা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠির (সাঁওতাল) নারীরা। বিরামপুর-বেপারীটোলা রাস্তার পাশে ধানের জমিতে ঘাঁস নিড়ানির কাজে নিয়োজিত সাঁওতাল নারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুরুষদের দৈনিক মজুরী ৫শ’ টাকা হলেও নারী শ্রমিকদের মজুরী ৩শ’ টাকা। আমন রোপনের পর হাতে তেমন কাজ না থাকায় সাঁওতাল নারীরা প্রায় বাধ্য হয়েই ৩শ’ টাকা মজুরীতে কাজ করছেন। আবার পুরুষের চেয়ে কম মজুরীতে শ্রমিক পাওয়ায় চাষীরাও নারী শ্রমিকদের ক্ষেত পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত করছেন। বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু ধানের অধিক দাম পাওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে ধান চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে বন্যার প্রভাব মুক্ত অনুক’ল আবহাওয়ায় বিরামপুর উপজেলায় এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমনের চারা রোপন করা হয়েছে। কৃষকদের রোপনকৃত ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুটি সর্না, সর্না-৫, ব্রি-৩৪,৫১,৭১,৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত।