শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

পাবনায় বিভ্রান্তকর সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মোবারক বিশ^াস পাবনা
  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তকর খবর পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে অন্যন্য সমাজ কল্যান সংস্থা নামের একটি এনজিও। গতকাল সোমবার দুপুরে সংস্থার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোছা: বর্না খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সেলিম আহম্মেদসহ সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ। লিখিত বক্তব্যে নির্বাহী পরিচালক বলেন একটি স্বার্থনেষী মহল কতিপয় বরখাস্তকৃত দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য খবর প্রকাশিত করে। এতে সংস্থার ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। নির্বাহী পরিচালক প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন দুর্নিতীবাজ ব্যাক্তির কথা কোড করে কিভাবে নিউজ প্রকাশ করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য যাচাই করে নিউজ করার আহবান জানান। সেই সাথে বরখাস্তকৃত দুনির্তীবাজ কর্মকর্তাদের এত বিপুল সম্পদের উৎস্যের খোজ করতে সাংবাদিকদের আহবান জানান। সেই সাথে সংস্থার উন্নয়নে সাংবাদিকেদের পাশে থাকার অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেদনের সবগুলো তথ্য উপাত্ত আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। প্রতিবেদনে বক্তব্য প্রদানকারী মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ টিপু বিশ্বাস ও তুরানী সুলতানা তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের অপকর্মের ধরন অনুযায়ী দেশের প্রচলিত আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমআরএ এর এ্যাফেলিয়টেড অডিট ফার্ম বরখাস্তদের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের প্রমান পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাকে প্রভাবিত করার জন্য এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে আপনারা খতিয়ে দেখবেন। একজন আসামীর বক্তব্য কিভাবে সংবাদের তথ্য উপাত্ত হতে পারে। কোন অপরাধীই প্রাথমিকভাবে অপরাধ স্বীকার করে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তারা তাদের তদন্তে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে অপরাধ প্রমানিত করে থাকে। যদি এটাই সত্য হয়ে থাকে তাহলে অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থা যাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমেই নিউজে সত্যতা প্রমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে সাধারন মানুষের কোন বক্তব্য গ্রহন করা হয় নাই। যাদের বক্তব্য গ্রহন করা হয়েছে তারা দু’জন দুর্নিতীর দায়ে সংস্থা হতে বরখাস্তকৃত ও মামলার আসামী মোঃ টিপু বিশ্বাসের আপন বোন মোছাঃ আসমা খাতুন ও তার আপন ফুপু মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন। অথচ যার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই মাহফুজ আলী কাদেরী সংস্থার কোন পদেই ছিলো না। তাহলে সে কিভাবে অর্থ আত্মসাত করলো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com