গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামীণ মেলা বসেছিলো সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর এলাকার কৃষœাদিঘী গ্রামে। এ মেলার মধ্যে দিয়ে তাড়াশের বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের গ্রামীণ মেলার শুরু হলো বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষœাদিঘী হাটের জায়গা জুড়ে কৃষœাদিঘী মেলার দোকান বসেছে। মেলায় রঙিন ঝুড়ি, খৈয়ের মুড়কি, চিনির সাজ, বাতাসা, খাগড়াই, গজা, মিষ্টি, জিলাপি, মাছ, মাংস, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র ও নানা রকমের খেলনা বেচাকেনা হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেলায় লোকজনের ভীরও বাড়তে থাকে। কৃষœাদিঘী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক, আব্দুল মতিন, লিটন আহাম্মেদ, স্বপ্না খাতুন ও বেবী খাতুন বলেন, রমজান মাসে মেলা হচ্ছে। তারপরও মেলা উপলক্ষে গ্রামের প্রায় বাড়িতেই আত্মীয় স্বজন এসেছেন। মেলা থেকে দই, মিষ্টি কেনা হয়েছে। মাছ, মাংসেরও রান্না হয়েছে বাড়িতে। ইফতার করে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়েরা বসে এক সঙ্গে খাব। মেলার দিন আশ পাশের কয়েক গ্রামের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বয়ে চলে। কৃষœাদিঘী মেলার নিকটবর্তী বোয়ালিয়া গ্রামের রিফাত ও সিয়াম নামে দুই জন শিশু জানায়, তারা মেলা থেকে খেলনা কিনেছেন। শহরে বা স্থানীয় বাজারের দোকানে টমটম গাড়ি, ফেইচকা, বাঁশি ও ঘুড়ি পাওয়া যায়না। জানা গেছে, তাড়াশের ভৌগলিক সীমার মধ্যে প্রায় ৪০ টির মতো গ্রামীণ মেলা বসে। এর মধ্যে বারুহাস মেলা, গুড়মা মেলা, বিনসাড়া মেলা, কুন্দইল মেলা, রানীর হাট মেলা ঐতিহ্যবাহী ও উল্লেখযোগ্য। চৈত্রের শেষ ও বৈশাখ মাসভর মেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে মেলার দোকানি বাদশা খন্দকার, রাশিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও সোহাগ হাসান বলেন, বিকেলে মেলায় অনেক লোকের সমাগম ঘটেছিলো। বেচাকেনাও ভালো হয়েছে শেষ পর্যন্ত। বিশেষ করে, ঝুড়ি ও মুড়কি বেশী বেচা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাক্ষ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মেলা উৎসব হলেও গ্রামীণ জনজীবনের সংস্কৃতির অংশ। আধুনিক যুগেও গ্রামীণ মেলার বেশ কদর রয়েছে গ্রামীণ সমাজে।