বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা হলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। ভোক্তাদের অধিকার দেখার জন্য রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩Íএই দুটি আইনের মাধ্যমে সরকার দেশে বাজার মনিটরিং করে থাকে। এরি ধারাবাহিগতায় টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে উপজেলার ধনবাড়ী বাজারে সহকারী কমিশনার ভূমি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ্ ফাতেহা তাকমিলা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় দুই দোকানে অনিয়ম পাওয়ায় দোকান মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। ধনবাড়ী বাজারের আশা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিককে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও খোলা অবস্থায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করায় জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও বাকি দোকান মালিকদের সতর্ক করা হয়। বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন ধনবাড়ী’র থানা পুলিশ। ধনবাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ্ ফাতেহা তাকমিলা বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্য যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে ক্রেতারা বা ভোক্তারা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, মানসম্মত পণ্য যাতে বিক্রি করে, কোনো ভেজাল মিশ্রিত না করে। মূল্যসামগ্রীর দাম দোকানের সামনে টানিয়ে রাখে। ভোক্তারা দামে কোনোভাবেই যাতে প্রতারিত না হয় তার জন্যে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সরকারি যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা মেনে চলতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। নিরাপদ খাদ্য আইনের ধারা ৬৬ ও ৭৮ অনুযায়ী ভোক্তা হিসেবে আপনার কাছে ভেজাল, দূষিত বা অনিরাপদ খাদ্য বিক্রি করা হলে এবং আপনার কোনো অভিযোগ থাকলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারবেন। ধারা ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ অনুযায়ী ভোক্তা হিসেবে আপনি ইচ্ছা করলে মামলা দায়েরের কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আপনার জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩–এর ধারা ৬২ অনুযায়ী আপনার অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবং খাদ্য আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে কোনো অর্থদ- আরোপ করলে আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে আপনি পাবেন। শুধু আইন দিয়ে পবিত্র রমজানে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়; এ জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা সৃষ্টি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ থাকা দরকার।