পূর্ব সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম শুরু
পূর্ব সুন্দরবনে শুরু হয়েছে মধু আহরণের মৌসুম। গতকাল শনিবার (১ এপ্রিল) শেষ বিকেলে শরণখোলায় তিন শতাধিক মৌয়ালী মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবনে যাত্রা করেছে। এদিন মৌয়ালদের বনের শরণখোলা ষ্টেশনসহ অন্যান্য ষ্টেশন থেকে পাস (অনুমতিপত্র) দেওয়া হয়েছে। বনবিভাগ এ বছর আটশত কুইন্টাল মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছর ১৫ মার্চ থেকে আগাম মধু আহরণ মৌসুম শুরুর ঘোষণা করেছিলো বনবিভাগ। ঐ সময়ে বনে মধু পাওয়া যাবেনা আশংকায় মৌয়ালরা বনে যায়নি। আগের নিয়মে মৌয়ালগণ সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের জন্য ১ এপ্রিল শরণখোল্ াষ্টেশনসহ অন্যান্য ষ্টেশন অফিস থেকে পাস (অনুমতিপত্র) সংগ্রহ করেন। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন মাস পর্যন্ত মৌয়ালগণ বনে মধু সংগ্রহ করবেন। মৌয়ালদের ১৪ দিনের করে পাস দেয়া হয়। শনিবার শরণখোলা ষ্টেশন থেকে ৩৩টি নৌকা পাস গ্রহণ করে। শনিবার শেষ বিকেলে শরণখোলা ষ্টেশন থেকে মৌয়ালদের ৩৩টি নৌকার বহর গভীর বনের নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে যায়। শরণখোলার বগী গ্রমের মাহাবুল হোসেন, উত্তর সাউথখালী গ্রামের মৌয়াল বাদশা শেখ জানান, তারা দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে আসছেন। প্রতিবার সুন্দরবনে যাত্রায় তাদের ৫০/৬০ হাজার টাকা খরচ করে বনে যেতে হয় গত বছর আশানুরুপ মধু না পাওয়ায় লোকসান হয়েছে এবছর বেশী মধু পাওয়া পাওয়া যাবে বলে ঐ মৌয়ালরা আশা প্রকাশ করেন। শরণখোলা ফরেষ্ট ষ্টেশন অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনে মধু আহরণের জন্য শনিবার ৩৩ টি নৌকা অনুমতি পত্র (পাস) গ্রহণ করেছেন। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, এবছর সুন্দরবন থেকে ৮ শত কুইন্টাল মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ৬শত কুইন্টাল মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মৌয়ালরা ২৮৮ কুইন্টাল মধু সংগ্রহ করতে পেরেছিলো। মৌয়ালরা যাতে বেশি মধু সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য গত বছর থেকে মধু আহরণ মৌসুম ১৫ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে এবং মৌয়ালদের ১৫ মার্চ থেকে আগাম মধু সংগ্রহের পাশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।