ফুল সৌন্দর্যের প্রতিক। পথেঘাটে, নার্সারিতে, বসতবাড়ি সহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ফুটে থাকে নানান জাতের নামকরা ফুল। আবার নামনা জানা অনেক ফুলও ফুটে থাকে। তবে প্রতিটি ফুলের নিজেস্ব একটা সুবাস থাকে এবং সৌন্দর্য সহ সুঘ্রাণ ছড়ায়। তেমনি কমলি লতার ফুল, যাকে মাইক ফুল নামে চিনে, মাইকের মতো দেখতে তাই তার নাম মাইক ফুল। পথেঘাটে এই কমলি লতার মাইক ফুল এখনও মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। এই ফুলেরও নিজেস্ব সৌন্দর্য ও সুবাস রয়েছে। হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের পাশে দেখা যায়, এই কমলি লতার মাইক ফুল ফুটে আছে। আবার রীতিমত পথচারীদের মনও কেড়ে নিচ্ছে। এক নজর হলেও ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখছেন পথচারীরা। ভোর থেকে ফুলগুলো ফুটতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফুলগুলো অনেকটা জড়ো হতে থাকে। গ্রাম-বাংলার অতিপরিচিত ঐতিহ্য কমলি লতা। এক সময় গ্রাম-গঞ্জে এই কমলি লতার অনেক কদর ছিলো। বাড়ির আঙ্গিনা, ক্ষেতের চারপাশে বেড়া দেওয়ার কাজসহ বিভিন্ন ঝাংলার কাজে এই কমলি লতা ব্যবহৃত হতো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কমলি লতার ব্যবহার হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে কমলি লতার মাইক ফুল দিয়ে ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলো। প্রিয়জনের চুলের ক্ষোপায় এই ফুল আর কেউ পড়িয়ে দেয় না আজকাল। পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন তেমন কোন নার্সারি চোখে পড়তো না। পথেঘাটে সব জায়গায় এই মাইক ফুল ফুটে থাকতো। আমরা এই ফুল তুলে খেলাধুলো করতাম। এখন তেমন আর বেশি সব স্থানে দেখা যায় না। ৬৫ বছর বয়সী লোকমান আলী বলেন, মানুষ এখন আধুনিক হয়ে গেছে। কমলি লতার নাম আর উপকারিতা জানেন না কেউ। আমরা সেই সময় এই কমলি লতা দিয়ে ঝাংলা দিতাম। বাড়ির চারপাশ বেড়া দিতাম। আবার জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করতাম। এই গাছে বিশেষ গুণ একটি ডাল মাটিতে লাগালে ঐডাল থেকে বহু গাছ বেড় হতো। তবে আজ এই রাস্তার পাশে ফুলগুলো ফোটা দেখে আমার অনেক শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলো।