দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সেবায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি চিকিৎসা নিয়ে চিন্তা শেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বাংলাদেশ” এই স্লোগানটিকে সামনে রেখে। সবার জন্য সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা বিনা মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে চলছে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি। বাংলাদেশও এই ধারায় এগিয়ে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিয়ে সামনে চলা যায়, তা নিয়ে গত কাল ধনবাড়ী উপজেলার ভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ইউপি সদস্যদের নিয়ে,( এস এস কে) এর আয়োজনে বেসরকারি সংস্থা সুশীলন এর সহযোগিতায় ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা : সবার জন্য স্বাস্থ্য’ শীর্যক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদ, বানিয়াজান ইউনিয়নপরিষদ, ধুপাখালি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান দের সভাপতিতে মুছা বিশ্বাস ম্যানেজার সুশীলন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ রিফাত হোসেন সুপার ভাইজার, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট স্বস্থ্য সেবা বিবাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়,মোঃ নাসির উদ্দিন উপজেলা ফিল্ড কো- অডিনেটর স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি ( এস. এস. কে) আবু হাসান টিম লিডার (এসএসকে) প্রকল্প সুশীলন ,মো: সুমন মিয়া ইবেন সাপুট স্টাফ ইউপি মেম্বার, লেবু মিয়া, ইউনিয়ন সচিব সহ সকলই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুশীল এই প্রকল্পে জনসাধারণকে অবহিত ও অনুপ্রেরিত করার জন্য ১৩০ টি ইউনিয়ন, পৌরসভা কর্মশালা , ২৬০ টি ছবি নাটক,৩৯০ টি উঠান বৈঠক, ১০০ টি স্কুলের সেমিনার এবং লিফলেট, ব্রুশিয়র ডিজিটাল স্টিকার বিতরণ ও বিলবোর্ড স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করবেন। (এসএসকে) বছরে দরিদ্র পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি সারাবিশ্বে নজির সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুনার রশিদ হীরা। তিনি বলেছেন, এ কর্মসূচি অত্যন্ত গর্বিত কার্যক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর কাছে পুস্তক পৌঁছে দিচ্ছেন, যা সারা বিশ্বে গর্বিত নজির সৃষ্টি করেছে। এই স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিও সারা বিশ্বের কাছে এ রকম গর্বিত নজির সৃষ্টি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। মুছা বিশ্বাস ম্যানেজার সুশীলন বলেন, “প্রতি পরিবারকে একটি স্বাস্থ্যসেবার কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রত্যেকেই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ঔষধ, যাতায়াত খরচ পাবে। নিজের পকেট থেকে মাত্র ৩৬ টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা দেবে সরকার। প্রতি পরিবারের স্বাস্থ্যসেবায় বছরে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এই স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হবে।”