দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ মাইলস্টোন গুলোর লেখা মুছে গিয়েছে। আবার কিছু মাইলস্টোন ঝুঁপড়ি আগাছায় নিমজ্জিত। পথচারীরা জানতে পারছে না তাদের গন্তব্যের বাকি দূরত্ব আর কতদূর। উপজেলার বানিয়ানীরচর, নতুন বাজার, খরমা, কালিতলা, পোলাকান্দি, বাহাদুরাবাদ, তারাটিয়া, সানন্দবাড়ী সহ বিভিন্ন জায়গা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দূরত্ব জানার জন্য এলজিইডি কর্তৃক রাস্তার ধারে বসানো মাইলস্টোন গুলোর বেহাল দশা। কিছু মাইলস্টোন ঝুপড়ি আগাছার ভেতর পড়ে আছে, কিছুর লেখা উঠে গিয়েছে। আবার বর্ষা, বৃষ্টির পানিতে কিছু স্টোনের নিচ থেকে মাটি ধ্বসে গিয়ে স্টোন মাটিতে উপড়ে পরে আছে। পরে থাকা স্টোন গুলো সুযোগ সন্ধানীরা তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। ট্রাক চালক শফিকুল ইসলাম জানায়, আমি ঢাকা থেকে এসেছি এই উপজেলার সানন্দবাড়ি থেকে ভুট্টা নিয়ে ঢাকায় যাব। আসার পথে দেওয়ানগঞ্জের গ্রামীণ মহাসড়কে কোন মাইলস্টোন আমার নজরে পড়েনি। যার ফলে আমি বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে লোকজনের কাছ থেকে দূরত্ব ও পথ দেখিয়ে নিয়েছি। মাইলস্টোন গুলো আরেকটু উঁচু, এবং লেখাগুলো মেরামত করা হলে আমার মত বাইরে থেকে আসা চালকদের অনেক সুবিধা হবে। স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান জানায়, অনেক সময় আমরা নিজ দায়িত্বে ঝুঁপড়ি আগাছা গুলো কেটে দেই। তবে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃক মেরামতের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এ ব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদকে মুঠোফোনে এবং সরাসরি পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার শেফা জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।