বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালি উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ সংসদীয় আসন গঠিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা যার যার মতো করে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সন্তর্পণে দল, কর্মী ও নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন। ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার পক্ষে এখন পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম, এই আসনের বর্তমান এমপি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মনজুর হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট লিয়াকত শিকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস গ্যাসের সাবেক পরিচালক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায়, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব খিজির আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিন্টু, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও বর্তমান এমপির স্ত্রী সেলিনা আক্তার এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ শামীম রেজা। এদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪ জন। তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজুল আকিল ডেভিড সিকদার এবং ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ নিউটন মিয়া। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মনজুর হোসেন। তিনি মোট ভোট পান ৩ লাখ ৪ হাজার ৬০৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী শাহ্? মো. আবু জাফর পান ১১ হাজার ৫০ ভোট। এর আগে ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এক লাখের বেশি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুর রহমান। তিনি ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকায় বেশ উন্নয়নমূলক কাজ করেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, এই প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি শতভাগ আশাবাদী যে আমি মনোনয়ন পাব। দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ শাহ মো. আবু জাফর সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি (শাহ জাফর) শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। করোনাকালীন সময়েও দলের নেতাকর্মী তাকে পাশে পায়নি। এজন্য আমি নিশ্চিত যে দল নির্বাচনে অংশ নিলে আমিই মনোনয়ন পাব। দলের মনোনয়ন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, আমি দল করি, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা মনোনয়নের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেই সিদ্ধান্তই মাথা পেতে নেবো।