সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঈদের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতাসাধারণ। বাজারে এসে হিসাবে মিলছেনা তাদের। কিন্তু ঈদে পরিবারের জন্য কিনতেই হচ্ছে। এদিকে উপজেলা নাগরিক আন্দলোনের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজু জানিয়েছেন, রমজান মাসের শুরুতেই খাবার পণ্যের দাম বেড়েছে। ঈদের আগে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের শাস্তান গ্রামের ছাকোয়াত হোসেন নামে একজন কৃষিজীবী বলেন, তাড়াশ বাজার থেকে ১ কেজি চিনি কিনলাম ১২৫ টাকা দিয়ে। জিরায় কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। রোজার শুরুর দিকে আদা ছিলো ১০০ টাকা কেজি। দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। শুকান মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। এরকোম সবকিছুর দামই ঈদের আগে বাড়ছে। তারপরও কিনতে হচ্ছে। তাড়াশ পৌর শহরের খোলাবাড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ঈদের সামনে স্থানীয় দোকানিরা খাদ্যপণ্যের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধার পরে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে চিনি পাওয়া যায়নি। (১৯ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে বাজার ঘুরে দেখো গেছে, কেবল চিনি ও মসলাতে নয়, মাছ, মাংসসহ সবকিছুরই দাম বেড়েছে। অপরদিকে তাড়াশ বাজারের মুদি দোকানি সাজেদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুর রউফ বলেন, পাইকারিতেই বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম বলেন, বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে সাধারণ লোকজন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে নয়।