ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাস-সিএনজির ভাড়া বাড়ানো হলেও এখনো পর্যন্ত কমেনি অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। শনিবার সকাল ১১ টায় ধোবাউড়া বাসস্ট্যান্ডে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঈদে বাড়িতে আসা সাধারণ মানুষ ঢাকা যাওয়ার জন্য ময়মনসিংহগামী বাসে যেতে ভীড় জমাচ্ছেন। তবে ধোবাউড়া থেকে ময়মনসিংহে চার্টে ভাড়া ১০৪ টাকা নির্ধারিত থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ১৩০ টাকা। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নির্দেশে ঈদের জন্য বেশি ভাড়া করলেও এখনো কমানোর জন্য কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তারা। বাস কাউন্টার মাস্টার মোসলেম উদ্দিনের কাছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জিগ্যেস করলে তিনি বলেন, ঈদের জন্য ময়মনসিংহ থেকে ধোবাউড়া বাস আসলে যাত্রী থাকে না তাই আমরা বেশি ভাড়া নিচ্ছি। উপজেলা প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় অতিরিক্ত গাড়িভাড়া নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ অনেকের এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারণ যাত্রীরা। ধোবাউড়া সদর বাজারের সিএনজি যাত্রী রইছ উদ্দিন বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে। ঈদের ৮ম দিনেও ভাড়া কমানো হয়নি। ধোবাউড়া থেকে ময়মনসিংহ শহরগামী বাসের যাত্রী রমিজা আক্তার বলেন, বাসের ভাড়া ৮০ টাকা থেকে এখন ১৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ভাড়া কমানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অন্য এক যাত্রী বলেন, কিছু দিন পর পর নানা অজুহাত দেখিয়ে বাস ও সিএনজির ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের তদারকি থাকলে এমন হতো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিএনজি চালক বলেন, আমাদের ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই, গ্যাসের অনেক দাম। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি চালালে অনেক যায়গায় টাকা দিতে হয়। এসব বন্ধ হয়ে গেলে ভাড়া কম নিলেও আমাদের চলবে।” অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে বাস মানিক সমিতির পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। নির্ধারিত চার্টে যে ভাড়া রয়েছে তা নেওয়া হচ্ছে। বেশি ভাড়া নিলে কাউন্টার মাস্টারকে জবাবদিহি করতে হবে। “সিএনজি কাউন্টার মাষ্টার সুভাস দত্ত বলেন, সিএনজি ভাড়া ঈদের কারনে বাড়ানো হয়েছে এখন আবার কমানো হবে।”সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি এমদাদ ফকির বলেন,”ঈদের জন্য বেশি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে আর বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। পূর্বের ভাড়াতে আবার নেওয়া হবে। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।