কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ফসলের জমিতে কাটা ধান মাড়াই ও রোদে শুকানো কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষকরা। মঙ্গলবার (০২ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়য়ের কাচিচর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠে কৃষকরা কেউ ধান কাটছে,কেউ কাটা ধান মাড়াই করছে। আবার কেউবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ধানের চিটা পরিস্কার করে রোদে শুকানো কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এবার বোরো ধান বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে মাঝখানে তীব্র তাপদাহে কৃষকরা একটু দুশ্চিন্তায় ছিল। বর্তমান আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কিষান-কিষানীরা কোমড় বেধে ধান মাড়াই ও রোদে শুকানো কাজে নেমে পড়েছে।এই ধান সিদ্ধ করে আবার শুকিয়ে গোলায় তুলতে হবে।তাই কৃষকরা তাদের কষ্টের সোনালী ধান ঘরে তুলতে মনের আনন্দে দিনভর কাজ করছে। কাচিচর এলাকার কৃষক বছির উদ্দিন বলেন,বাহে এবার ধান খুব ভালো হয়েছে।কয়দিন আগে যে গরম গেল, আল্লাহর রহমতে এখন গরম অনেকটা কমেছে।তবে এখন আকাশে কালো মেঘ দেখা যায়।বৈশাখের অর্ধেক দিন চলে গেছে ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য তাড়াতাড়ি জমিতেই কাটা ধান মাড়াই শেষ করে শুকিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। শুল্কুর বাজার এলাকার জমিরন বেওয়া জানান,আমার যে একটু জমি আছে তাতে ভালো ধান হয়েছে।কয়দিন আগে থাকি যে গরম রোদ আর গরম পড়ছিল।মনে করছি এবার ধানগুলা নষ্ট হবে।কিন্তু দুইদিন থাকি আকাশে মেঘ আর রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ে। কখন যে কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। সে জন্য ধান শুকানোর পর ধানের চিটা পরিস্কার করে ঘরে নিয়ে যাই। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন,কুড়িগ্রামে এবছর বোরো ধান ১লক্ষ ১৬হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়েছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে আশা করছি এবার বোরোর বাম্পার ফলন হবে।তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে আছে।