ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের হাসনহাটি গ্রামে কয়েক বছর ধরে সিলভার কারখানায় হাড়ি পাতিল তৈরির পাশাপাশি বানাচ্ছে ইজিবাইক।ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সিলভার কারখানার পাশাপাশি ইজিবাইক বানাচ্ছে হাসনহাটি গ্রামের ফেলু শেখের ছেলে জসিম। সরেজমিনে জানাগেছে ফেলু শেখের মেয়ের জামাতা শাকরাইল গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে বোরহান মিয়া এই কারখানার মালিক। বোরহান মিয়া বিদেশে থাকায় ব্যবসার দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী, শশুর ও শ্যালক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গড়ে তুলছে সিলভার কারখানা। দিন-রাত সেখানে চলছে সিলভারের হাড়ি পাতিল সহ নানান জিনিসপত্র তৈরী । সেই সাথে হাড়িপাতিলের অন্তরালে তৈরি করছে ইজিবাইক। ইতোমধ্যে এখানে তৈরী ডজন খানিক ইজিবাইক চলছে রাস্তায়। এসকল ইজিবাইক নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ফিটনেসবিহীন ভাবে তৈরি করায় সড়কে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও থাকছে সংসয়। কারখানা দেখাশোনার দায়িত্বে জসিম শেখ বলেন আমাদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অন্য কোনো কাগজপত্র নেই, সিলভার তৈরির পাশাপাশি ইজিবাইক বানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক জায়গাতেই ইজি বাইক তৈরি হচ্ছে আমরাও বানাইতেছি। কারখানার মালিক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। ফিটনেস বিহীন ইজিবাইক রাস্তায় যত্রতত্র চলায় জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে ভুগতে হয় যাত্রীদের। এ বিষয়ে কথা হয় লস্কারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদারের সাথে।তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে যদি কেউ সঠিক ব্যবসার আড়ালে অন্য কোনো অনিয়মভাবে কিছু করে সেজন্য সেই দায়ী। এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ মঈনুল হক কে জানালে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিষয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।