মানষিক ভারসাম্যহীন বাক প্রতিবন্ধী ৯ বছর বয়সী শিশু দুলালী ৯ বছরের জীবনের ৪ বছরই পায়ে শিখল বাধা কাটাচ্ছে বন্দী জীবন। দিনের বেলায় বাড়ির সামনে খেলা আকাশের নিচে গাছ অথবা বাঁশের সঙ্গে ও রাতে ঘরের ভিতর একটি খুঠির সঙ্গে পায়ে শিখল দিয়ে তাকে বেধে রাখা হয়, সেখানেই চলে তার খাওয়া দাওয়া সহ সবকিছু। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামের হতদরিদ্র জিয়ারুল হকের শিশু কন্যা দুলালী। পায়ে শিখল যেন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে তার, এভাবেই কাটছে ৪টি বছর ধরে, চলছে দুলালীর বন্দী জীবন। জানা যায়, জন্মের প্রায় পাঁচ বয়স হয়ার পর থেকে তার মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়, সেসময় তাকে ছেড়ে দিলে ছোটাছুটি করতে করতে সবার অজান্তে এদিক-সেদিক চলে যেতো। কিছুদিন আগেই সে বাড়ি অনেক দুরে চলে গিয়েছিল। পরে সামর্থ্য মত কিছুদিন চিকিৎসা চালালেও সুস্থ হয়নি দুলালী। তার আচরণের কোন পরিবর্তন হয়নি বরং তা দিনদিন বাড়তে থাকে, তাই অনাকাঙ্ক্ষিত কোন দুর্ঘটনা ও মেয়েকে হারানোর ভয়ে বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিখলে বেধে রাখছেন তাকে। পরিবারের সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা করিয়ে লাভ হয়নি কোন, এছাড়া অর্থ অভাবে করানো যায়নি উন্নত চিকিৎসা। শিখলে বাধা এভাবে আর দেখতে চাননা নিজের সন্তানকে দুলালীর মা-বাবা। এছাড়া আর্থিকভাবে সমর্থ্য না থাকলেও সরকারি সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে দুলালী যেন ফিরে পায় একটি সাভাবিক জীবন, এই প্রত্যাশায় দুলালীর পরিবার।