গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জেলা বার এ্যাসোসিয়েসনের সদস্য অ্যাড. জরিদুল হক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসন থেকে সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। তিনি জানান, আমি দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরপর তিনবার নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন এবং গত ২০২২ সাল পর্যন্ত জেলা পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি আরো বলেন, আমি ২০০৯ সালে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করি। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ, নির্বাচনে জয়ের সমূহ সম্ভাবনা থাকা স্বর্ত্বেও তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী না হওয়ায় দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধা রেখে সে সময় আমার মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এছাড়াও আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ৩১, গাইবান্ধা-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। একাধিকবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পলাশবাড়ী উপজেলার ৯নং হরিনাথপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গাইবান্ধা জেলা শাখার প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক, জেলা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগ পলাশবাড়ী উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি আরো বলেন, জোট সরকার কর্তৃক প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ও অভিযোগ করা হয়। যদিও সকল প্রকার অভিযোগ থেকে আল্লাহর রহমতে আমি অব্যাহতি পেয়েছি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি দুই সন্তানের জনক। আমি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলার গড়ার একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। অ্যাড. মো. জরিদুল হক পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপা গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি এম.এ.এলএলবি পাশ করার পর বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি জেলা সদরের থানাপাড়া কলেজ রোডে বসবাস করছেন। ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। গ্রামে-গঞ্জে হাট-বাজারে তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা আরো জানান, বিগত ২০ বছর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালীন সময়ে তার ব্যাপক জনসমর্থন ছিল।