নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে সারা দেশে চষে বেড়াচ্ছেন দলটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের নেতারা। কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত দিনে যে উন্নয়ন করেছে, তার চিত্র ধারাবাহিকভাবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ করে স্থানীয় জনগণের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান। এছাড়াও বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় যত অনিয়ম ও নৈরাজ্য হয়েছে, তার ফিরিস্তিও তুলে ধরা হচ্ছে সভা-সমাবেশগুলোতে। বিগত দিনে বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য, নাশকতার কারনে জনগনের জানমালের যে ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো জনগনকে জানান দিচ্ছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ জানুয়ারি বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। নির্বাচন সামনে রেখে করণীয় বিষয়ে এই বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনার আলোকে এই সভা সমাবেশগুলো করছেন বলে জানান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের হাসান শফিক মাহমুদ গোলাপ। ‘ তিনি বলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধানের নেতৃত্বে আমরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তৃনমুলের জনগনের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তিগুলো তুলে ধরছি।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান মন্ডল জানান, নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা জনগনের কাছে গিয়ে মতবিনিময় সভা করছি। আব্দুল লতিফ প্রধানের নেতৃত্বে বর্তমান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, একটি শক্তিশালী ইউনিট। আগামী নির্বাচনে দলের ভোট বাড়ানো এবং বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় কাজ করবে এই শক্তিশালী ইউনিটের নেতাকর্মীরা। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, আমরা ক্ষমতায় রয়েছি, তাই এই দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের দেখতে হবে। তাই আমরা জনগনের মাঝে সচেতনতামূলক সভা করছি। আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি- জামাত জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনবে, রাস্তা অবরোধ করে, বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে-এ অবস্থায় জনগন যাতে করে সোচ্চার হয়, যেন তারা নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, সেসব বিষয়গুলো আমরা গ্রামে গঞ্জে গিয়ে জনগনের মাঝে তুলে ধরছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এখন মূল কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়নগুলো হয়েছে, সেগুলো গোবিন্দগঞ্জ বাসীর সামনে তুলে ধরা। তাই বর্তমান সরকার যে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে, সেগুলো আমরা সভা- সমাবেশের মাধ্যমে জানান দিচ্ছি। পাশাপাশি বিএনপি-জামাতের আমলে যে সন্ত্রাস-দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলো মানুষকে বিনয়ের সঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছি। নারীদের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া বিধবা ভাতা, আশ্রয়ন প্রকল্প, মাতৃভাতা,শিশু ভাতা,সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের চিত্র তুলে ধরেছি জনগনের মাঝে। আমরা সভাগুলোতে জনগনের কথাও শুনছি, আগামী দিনে আরো কি কি কাজ করলে তারা উপকৃত হবে, সেগুলো নোট করে নিচ্ছি। আমরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসীকে বিনীত অনুরোধ জানাবো যে, নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাজ করছি, নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে সভা- সমাবেশ করছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসব করছি। ভোট যখন আসবে দয়া করে মনে রাখবেন, এই সংকটে আওয়ামী লীগ দুর্যোগে ত্রাণ দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ শীতে কম্বল দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় টিকা দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় খাদ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। এই আওয়ামী লীগ গৃহহীনদের জমি সহ ঘর দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ কৃষকদের ধান কাটা মাড়াই করেছে,এই আওয়ামী লীগ কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়েছে,এই আওয়ামী লীগ ডিজিটাল সেবা প্রদান করছেন,এই আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু,বঙ্গবন্ধু রেল সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি ট্যানেল সহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন ও কাজ চলমান,কোন কাজেই বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, একারনেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা কে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী, দলের জন্য কাজ করি। বর্তমানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। দলের নীতিনির্ধারক যাকে চাইবে আগামী দিনে গোবিন্দগঞ্জ আসনে তিনি নৌকার মাঝি হবে। কে মনোনয়ন পাবে আর কে পাবে না, এটা মূখ্য বিষয় নয়। আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী, এর আগেও চেয়েছি, আগামীতে চাইবো,দল যাকে পছন্দ করে প্রার্থী দিবেন আমরা সকলেই তার পক্ষে কাজ করবো।