দীর্ঘদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বরিশাল মহানগরের রাজনীতির কারনে বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকার দলীয় হামলা ও একাধিক মামলার আসামী হয়ে এখনও প্রতিনিয়ত আদালতের বারান্দায় উপস্থিত হয়ে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছে মহানগরের বিভিন্ন প্রর্যায়ের নেতৃত্বদানকারী নেতৃবৃন্দ। বিগত বছর দু’এক আগে বর্তমান বরিশাল মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন হলেও সেখানে বিগত দিনের মহানগর কমিটির পদদারীদের কোনস্থানেই তাদের স্থান দেওয়া হয়নি। এরপরও আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন সাধারন সৈনিক ও আগামী রাষ্ট্রনায়ক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ এই ভোটবিহীন অবৈধ সরকারের সময়ে সকল নির্বাচন বর্জনের ডাক আশায় সেই নির্দেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এলাকার শত শত মহিলা ও পুরুষ সহ সাধারন ভোটারের ভালবাসা মায়া ত্যাগ করে সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে বিগত দিনের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও বর্তমান পদহীন মহানগরের দাপটশীল একাধিক নেতৃবৃন্দ। আবার বর্তমান মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির বেশকয়েক জন কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিলেও তাদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যে দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ ( ফেইজবুকে) জানান দিয়েছে। এদিকে মহানগর বিএনপির (পদহীন) সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও নগরের ৭ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আকবর হোসেন, সাবেক মহানগর বিএনপি যুগ্ম সহ সাধারন সম্পাদক ও ৯ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জামাল হোসেন নোমান, মহানগর বিএনপি সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর জিয়া উদ্দিন সিকদার শুরু থেকেই তারা কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা আসায় দলের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান ও স্থানীয় জন সাধারন ভোটারদের ভালবাসা ত্যাগ করে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে ও সরকার পতনের ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন নির্বাচনেই অংশ গ্রহন করবে না বলে জানান তারা। এব্যাপারে সাবেক মহানগর বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক (পদহীন নেতা) সৈয়দ আকবর হোসেন বলেন, বিএনপিতে দীর্ঘদিন জড়িত থাকার সুবাদে দল আমাকে অনেক দিয়েছে। দল আমাকে বিভিন্ন সংগঠনের পদ মর্যদার আসনে বসিয়েছে। বর্তমান কোন পদে নাই বলে আমরা কোন হতাস না। বিএনপিতে আছি বিএনপি ছেড়ে কোনদিনই বাহিরে যাব না। দলের দলের ভাইচ চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশের বাহিরে গিয়ে এই সামান্যতম কাউন্সিলর পদ বড় কিছু না। আমাদের আন্দোলন তত্বাবধায়ক সরকার আদায়ের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করার মধ্যে দিয়ে দেশে একটি সুস্থ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করার পর যদি দল কোন নির্বাচন করে তখন চিন্তা করব। অপরদিকে সাবেক মহানগর বিএনপি সহ সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জামাল হোসেন নোমান বলেন, আগে কি ছিলাম, এখন কি নাই সে বিষয়টা বড় করে দেখার সময় না।
আমার দল বিএনপি যেখানে এই ভোটচোর সরকারের অধিনে স্থানীয় সরকার সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে সেখানেতো আমি একজন দলের কর্মী হয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করতে পারি না বলেই আসন্ন সিটি নির্বাচন বর্জন করেছি। সিটি নির্বাচন বর্জন ও সরে দাড়ানো প্রসঙ্গে সাবেক কাউন্সিলর,সাবেক মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন,আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্রের জন্য আজ কারাবন্ধি হয়ে আছে। আমরা নিরপক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে আছি। এছাড়া বর্তমান অবৈধ সরকারের নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আমাদের কোন আস্থা নেই বলেই আমাদের দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। সেখানে আমি দলের আদর্শচ্যুত হওয়ার মত কাজে জড়াতে পারি না। আমার এলাকার শত শত মানুষের আমার প্রতি আবেগ- ভালবাসা ছিল তারপওেরও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যেতে পাড়ি না বলেই আমি আসন্ন সিটি নির্বাচন বর্জন করি নাই শুধু এনিয়ে কোন চিন্তা করি না। সেই সাথে আমাদের দলে যে সকল নেতা কর্মী সমর্থক রয়েছে তাদেরকে বলব তারা যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে এই সরকারকে যেন বৈধতা না দেয়। অন্যদিকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও বরিশালে দলের সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউন্সিলর পদে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থী হতে তাঁরা আগেভাগেই নিজ নিজ এলাকায় নানা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তফসিল ঘোষণার পরই নগরজুড়ে কানাঘুষা ছিল যে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির অনেক নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। নগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা এমন সম্ভাবনাকে তখন পাত্তা দেননি।মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ডের অন্তত ২৫টি ওয়ার্ডে দলের নেতারা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে মাঠে নেমেছিলেন। এ নিয়ে দলের ভেতরে অস্বস্তি ছিল অনেক। এসব প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে দলের দায়িত্বশীল নেতারা নানা ধরনের নিষেধ করেছে। এদিকে নগরের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি আহবায়ক কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া মাইনুল হক বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আগেভাগে জানালে মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য পরিশ্রম এবং টাকা খরচ করতাম না। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। ৬নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী সাবেক কাউন্সির ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান টিপু বলেন, ওয়ার্ডবাসী নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করায় তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত ভাঙ্গতে বাধ্য হয়েছেন। নির্বাচন সম্পন্ন করেই ঘরে ফিরবেন বলে জানান তিনি। দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে সরে দাঁড়ানো ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বরিশাল জেলা দক্ষিন যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, সাধারন জনগণের চাওয়াতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন ফরম কিনে ছিলাম এবং সাধারন ভোটারদের চাপে পরেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। কিন্ত শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারিনি। তাই দলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ দশ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিসিসির ১৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি’র ১নং সদস ? আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম এবং ২২নং ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী বরিশাল জেলা দক্ষিন যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন। বরিশালের ২২ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম বলেন, “আমি দুইবার কাউন্সিলর ছিলাম তারাপরও সরে দাঁড়াচ্ছি কারণ দলে আমার আরো ভালো পদ পাওয়ার সম্ভবনা আছে। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে রাজনীতি করতে চাই।”তবে তার কথা,”অনেকেই নির্বাচন করবেন বহিষ্কার হলেও। তবে বেশিরভাগ বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থী (১৮ মে) বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমানে বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ দশ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিসিসির ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি’র ১ নং সদস ? আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম এবং ২২ নং ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী বরিশাল জেলা দক্ষিন যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলেন,এ ব্যাপারে দলের আরেকটু উদার হওয়া দরকার ছিলো। কারণ বিএনপির কাউন্সিলর না থাকলে আমাদের লোকজন বয়ষ্ক ভাতাসহ আরো অনেক সুবিধা পাবেন না।দেশের অন্য সিটিগুলোতেও বহিষ্কার হলেও অধিকাংশই নির্বাচন করবেন। বিশেষ করে বিএনপির বর্তমান কাউন্সিলর, আগে যারা কাউন্সিলর ছিলেন এবং যারা মনে করেন জিতবেন তারা নির্বাচন করবেন। দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে সরে দাঁড়ানো ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বরিশাল জেলা দক্ষিন যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, সাধারন জনগণের চাওয়াতে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন ফরম কিনে ছিলাম এবং সাধারন ভোটারদের চাপে পরেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। কিন্ত শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারিনি। তাই দলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন অফিস তথ্যসুত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে পদস্থ ১০ বিএনপি নেতা মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন এছাড়াও বিএনপির সাবেক নেতা এবং বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের পরিবার থেকে আরও ৯ জনের মতো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এব্যাপারে মহানগর বিএনপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, যে সকল বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও বর্তমান কাউন্সিলর মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ।