বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আর কোন দফা নয়, দফা শুধু একটাই শেখ হাসিনার পতন, দাবী শুধু একটাই শেখ হাসিনার পতন চাই। শেখ হাসিনার কারনে হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়ী ছাড়া ৪০লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা। শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা, হতে দেয়া হবেনা। শেখ হাসিনা দেশটাকে ধ্বংশ করে দিয়েছে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যাংকবীমা খাত লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, ১০টাকা কেজি দরে চাল ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার কথা বলে দেশের মানুষের সাথে প্রতারনা করেছে। প্রতিবাদ করলে নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে, তারা গনতন্ত্র বিশ্বাস করেনা।
নেতা কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে শেখ হাসিনা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা থেকে দেশের মানুষ আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাই মানে মানে কেটে পড়ার আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে এ দেশে কখনও অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হবেনা। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কোন সংঘাত চাইনা, শান্তিপৃর্ন উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। শনিবার বিকেল ৩টায় স্থানীয় কালেক্টরেট মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত কেন্দ্রিয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে চাল, ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনসহ ১০দফা দাবীতে এক বিশাল জন সভায় প্রথান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৬ সালে আপনি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন মানবোনা, আজকে আমরাও পরিস্কার ভাষায় বলছি, তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন প্রহসন বা ভোটচুরির নির্বাচন বাংলার মাটিতে হবেনা, হতে দেয়া হবেনা, জনগন মানবেনা। বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, গত সতের বছরে আমরা অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে দিনের পর দিন অন্ধকার কারাগারে রেখেছেন, আগামী দিনের রাষ্টনায়ক তারেক রহমানের নামে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন তাকে দেশে আসতে দিচ্ছেননা, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে তৃনমুলের সাধারন কর্মী পর্যন্ত অসংখ্য মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন,অনেক নেতা কর্মীকে গুম করেছেন, অনেক স্ত্রীকে করেছেন স্বামী হারা, অনেক সন্তানকে করেছেন পিতৃহারা, গত ১৭ বছরে অনেক রক্ত ঝড়িয়েছেন মনে রাখবেন মামলা হামলা দিয়ে বিএনপিকে দমাতে পারবেননা। আপনারা মনে করেছেন-ক্ষমতা চিরস্থায়ী মনে রাখবেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। তিনি বলেন ৭৫ সালের পর দীর্ঘ একুশ বছর আপনারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছেন, মানুষের কাছে মাফ চেয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ২০১৪ সালে একটা ভোট বাক্সে পড়ে নাই, ২০১৮ সালে দিনের আলোতে আপনাদের ভোট করার সাহস হয়নি, রাতের অন্ধকারে পুলিশ, র্যাব ও দলিও ক্যাডার দিয়ে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছেন, সাবধান ২০১৮ কিন্তু ২০২৪ না। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, আওয়ামীলীগ করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা যায় আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, এমন বক্তব্য দিতে লজ্জা করেনা। তিনি বলেন, আমাদের কিছু করা লাগবেনা, আপনারা যে অন্যায় অত্যাচার করেছেন আপনাদের সকল অপকর্ম ও অত্যাচারের জবাব এ দেশের জনগন দেবে ইনশআল্লাহ। বানিজ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ত্রিশ টাকার পেয়াজ এখন আশি টাকা আর কত টাকা বাড়লে পেয়াজ আমদানী করবেন। দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধগতিতে দেশের মানুষ আজ দিশে হারা। ব্যবসায়ীক সিন্ডিগেট করে জনগনের নাভিশ্বাস তুলেছেনে আপনারা। মনে রাখবেন আপনাদের এ অন্যায় অবিচারের বিচার এদশের জনগনই করবে, পালাবার পথ খুজে পাবেন না। সভাপতির বক্তব্য বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি লালমনিরহাট জেলার উন্ন্য়নের রুপকার আলোকিত লালমনিরহাটের সপ্নদ্রস্টা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব বলেন, বিএনপি, ছাত্রদল যুবদল সেচ্ছাসেবক দল সহ সকল নেতা কর্মীরা আগামী আন্দোলনে প্রস্তুত আছে জানিয়ে মহাসচিবের দৃষ্টি চেয়ে বলেন আপনি যখন যে নির্দেশ দিবেন আমার লালমনিরহাট জেলা বিএনপিসহ সকল নেতাকর্মী প্রস্তুত। আপনার নির্দেশ পেলে আমার সকল নেতাকর্মী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ব্যারিস্টার রাজীব প্রধান, সহসভাপতি এ্যাড রফিকুল ইসলাম, রোকন উদ্দীন বাবুল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাড. ফেরদৌস আরা রোজী, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হেসেন পাটগ্রাম বিএনপির সাধারন সম্পাদক সালাউজ্জান আপেল, আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ছালেকুজ্জামান ছালেক, মুক্তিযোদ্ধাদলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান হাফিজসহ আরও অনেকে। এছাড়াও মঞ্চে জেলা বিএনপির সহসভাপতি লায়লা হাবিব সহ আরও অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।