শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

ভাইসরয় লর্ড কার্জন

নিজাম আশ শামস :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

সময় ১৮৯৮ সালের ১০ ডিসেম্বর। ইংল্যান্ডের প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রীবাহী একটি স্টিমার রওনা হলো। ২৫ ডিসেম্বর তা এডেন বন্দরে পৌঁছল। ৩০ ডিসেম্বর বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) নোঙর করল স্টিমারটি। আর তা থেকে নেমে এলেন ভারতবর্ষের নতুন ভাইসরয় জর্জ নাথানিয়েল কার্জন ওরফে লর্ড কার্জন। সঙ্গে তার সহধর্মিণী মেরি ভিক্টোরিয়া কার্জন। বোম্বে পৌরসভার পক্ষ থেকে তাকে সাদরে বরণ করা হলো। চারপাশে উল্লসিত জনতার ভিড়। এর মধ্য দিয়ে গার্ড অব অনার দিয়ে কার্জন দম্পতিকে মালাবার পয়েন্টে অবস্থিত গভর্নর হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। বোম্বের তৎকালীন গভর্নর ছিলেন লর্ড স্যান্ডহার্স্ট। লর্ড কার্জনের পুরনো বন্ধু। কার্জন দম্পতির সম্মানে লর্ড স্যান্ডহার্স্ট ডিনারের আয়োজন করলেন। ডিনার-পরবর্তী অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বোম্বে শহরের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ১ হাজার ৪০০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সোনালি গালিচায় দাঁড়িয়ে লর্ড কার্জন ও মেরি কার্জন সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরের দিন তাদের এসকর্ট করে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হলো। এটি লালগালিচায় ঢাকা ছিল। বাদক দল ‘গড সেভ দ্য কুইন’ বাজাচ্ছিল। বোম্বে থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করলেন কার্জন দম্পতি। যাত্রাপথে প্রতিটি প্রধান স্টেশনে তাদের গার্ড অব অনার দেয়া হয়। কলকাতায় তাদের অভ্যর্থনা জানান বাংলার তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তারপর বিপুল জনসমাগম ঠেলে তারা ভাইসরয়ের বাসভবনে পৌঁছলেন।
১৮৯৮ সালের ১১ আগস্ট ভাইসরয় হিসেবে লর্ড কার্জনকে মনোনয়ন দেন ব্রিটেনের রানী। তিনি লর্ড এলগিনের স্থলাভিষিক্ত হন। লর্ড কার্জনের ৪০ বছর হতে তখনো আরো কয়েকদিন বাকি। পূর্ববর্তী ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেলদের গড় বয়সের তুলনায় তা অনেক কম। বিদায়ী ভাইসরয় লর্ড এলগিন কার্জন দম্পতিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এক্ষেত্রে রীতি ছিল এমন, বিদায়ী ভাইসরয় তার উত্তরসূরির সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। তারপর কিছুদিন তার অতিথি হিসেবে অবস্থান করবেন। এবার কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটল। নতুন ভাইসরয়কে কয়েকদিন নানা পরামর্শ দিলেন লর্ড এলগিন। তারপর ভারত ত্যাগের মাত্র আধা ঘণ্টা আগে লর্ড কার্জনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন লর্ড এলগিন। ১৮৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন লর্ড কার্জন। তারপর হুগলি নদীর তীরে এলগিন পরিবারকে বিদায় জানান।
ভাইসরয় হিসেবে লর্ড কার্জন দক্ষ ও পরিশ্রমী ছিলেন। একজন ভাইসরয়ের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছরেই একটি সফল প্রশাসনের ভিত্তি তৈরি হওয়া উচিত বলে তিনি বিশ্বাস করতেন। কারণ তখন পর্যন্ত নতুন ভাইসরয় বেশ উজ্জীবিত থাকেন। এ সময়ের মধ্যে যদি তিনি প্রশাসনকে সুশৃঙ্খল করতে না পারেন, তাহলে উদ্ভূত নানা বিশৃঙ্খলা দ্রুত তাকে ক্লান্ত করে দেবে। লর্ড কার্জনের কাজ করার ক্ষমতা সবাইকে বিস্মিত করত। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতি সন্ধ্যায় তাকে একগাদা ফাইল পাঠাতেন। লর্ড কার্জন সব ফাইল খুঁটিয়ে দেখতেন। পরের দিন সকাল ৯টার মধ্যে তিনি ফাইলগুলো ফিরিয়ে দিতেন। কর্মকর্তাদের কাছে ব্যাপারটি অলৌকিক মনে হতো। কারণ ডিনার ও ব্রেকফাস্টের মধ্যে পাওয়া সময়টুকুতেই তিনি ফাইলগুলো যথাযথভাবে দেখা শেষ করতেন। তাহলে তিনি ঘুমাতেন কখন, বিশ্রামই বা করতেন কখন! তবে নিজের কাউন্সিলে যোগ্য সদস্য পাননি লর্ড কার্জন। ভাইসরয় থাকাকালীন কার্জন মোট ২২ জন কাউন্সিল সদস্যকে পেয়েছিলেন। দু-একজন ব্যতিক্রম বাদে তাদের কেউই চৌকস ছিলেন না। প্রশাসনকে দক্ষ ও কার্যকর করতে লর্ড কার্জন তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। প্রশাসনিক প্রতিটি ক্ষেত্রে চৌকস কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতেন। তিনি এমন একটি দিনের স্বপ্ন দেখতেন, যখন ব্রিটিশ সরকার কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে সামাজিক মর্যাদার পরিবর্তে প্রশাসনিক দক্ষতাকে গুরুত্ব দেবে। প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে লর্ড কার্জন নিজের মতকেই প্রাধান্য দিতেন। তার অধীন কর্মকর্তাদের মতামত দিতে তিনি সাধারণত নিরুৎসাহিত করতেন। আর যদিওবা তারা কোনো মত দিতেন, সেগুলোকে অবলীলায় অবহেলা করতেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি রীতিমতো খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অধীনদের কর্মকা- তিনি যাচাই করতেন। তাদের কাজ নিয়ে সুস্পষ্ট ও অকপট মন্তব্য করতেন তিনি। একপর্যায়ে এসব কর্মকর্তারা তার ওপর ক্ষেপে যান। কার্জন স্বীকার করতেন যে তার আচরণ এসব কর্মকর্তাকে আহত করত। কিন্তু তার কাজের বাধা দূর করার জন্য অকপট হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ভাইসরয় হওয়ার পর লর্ড কার্জন বেশকিছু সংস্কারকাজ হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু মাথামোটা (তার ভাষায়) এসব কর্মকর্তার বিরোধিতার কারণে তিনি কাজ এগিয়ে নিতে পারছিলেন না। ভাইসরয় হওয়ার পর কার্জনের অন্যতম অর্জন ছিল কলকাতা শহরকে ধোঁয়াদূষণ থেকে মুক্ত করা। তার আগে এ ব্যাপারে বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কোনো উদ্যোগই নেয়নি। ধোঁয়া নির্গতকারী কারখানাগুলোর মালিকদের চটাতে চায়নি বাংলার সরকার। লর্ড কার্জন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেন। তার একার জেদের কারণে ধোঁয়াদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন পাস হয়েছিল।
লর্ড কার্জনের জন্য ভারতবর্ষ রোমাঞ্চের কোনো জায়গা ছিল না। ভারতকে যথাযথভাবে শাসন করা একটি গুরুদায়িত্ব বলে তিনি মনে করতেন। তিনি বলতেন, এ দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা হলে ব্রিটেনের এখানে শাসন করার কোনো অধিকার নেই। ১৯০৩ সালে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক ডিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেছিলেন। প্রাক্তন এক ভাইসরয় লর্ড নর্থব্রুক বলেছিলেন, ‘ভারত সরকারের দায়িত্ব হলো ভারতের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। ম্যানচেস্টারের কারখানা মালিকদের স্বার্থ রক্ষা এর কাজ নয়।’ লর্ড নর্থব্রুকের এ কথা লর্ড কার্জন মনেপ্রাণে ধারণ করেছিলেন। ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি এ দর্শন নিয়েই কাজ করেছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন, ভারতের জনগণের কাছে তিনি দায়বদ্ধ। তাদের স্বার্থ বিঘিœত করার পরিবর্তে তিনি বরং নিজের দায়িত্বই ছেড়ে দেবেন। ছোট ছোট বিষয়েও ভারতের স্বার্থ রক্ষায় তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতেন। তিনি ভারতীয়দের বাদামি চামড়ার ‘ইংলিশম্যান’ হতে নিরুৎসাহিত করতেন। পরিবর্তে নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্য চিন্তার সুষম মিশ্রণ ঘটাতে তিনি তাদের উৎসাহিত করতেন। মুসলিম ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলতেন, ‘নিজেদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরো। এ ধর্মের মধ্যে মহত্ত্ব, আভিজাত্য ও গভীর সত্যের চমৎকার সম্মিলন ঘটেছে।’
প্রশাসন, অর্থনীতি, পরিবেশ, কৃষি, রেলপথ, শিক্ষা, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছিলেন লর্ড কার্জন। তিনি কেন্দ্রীভূত সরকার ব্যবস্থা ও শক্তিশালী আমলাতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসন থেকে দূরে রাখা তার উদ্দেশ্য ছিল। এ লক্ষ্যে ১৮৯৯ সালে ‘ক্যালকাটা করপোরেশন অ্যাক্ট’ পাস করেন লর্ড কার্জন। এ আইন অনুসারে, নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। পরিবর্তে মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়ানো হয়। এ আইনের প্রতিবাদে করপোরেশনের ২৮ জন সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে করপোরেশনে ইংরেজ ও অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানরা সংখ্যাধিক্য লাভ করে। ১৮৯৯ সালেই ভারতে ব্রিটিশ মুদ্রার প্রচলন হয়। এক পাউন্ড ১৫ রুপির সমতুল্য বলে ঘোষণা করা হয়। লর্ড কার্জন লবণের কর কমিয়ে দিয়েছিলেন। আগে প্রদেশগুলোর আয় কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে নিত। ফলে প্রদেশগুলোর কাছে কোনো অর্থ জমা থাকত না। লর্ড কার্জন এ রীতি রহিত করেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ নীতিকে তিনি অনুমোদন দেন। বন্যা প্রতিরোধে ও বন্যাপরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি প্রশমিত করতে কার্জন বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বন্যার কারণ অনুসন্ধান ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। বন্যা প্রতিরোধে তিনি নিজেও অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেগুলো পরবর্তী সময়ে বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল। কৃষকদের সুদখোর মহাজনদের কবল থেকে রক্ষার জন্য ১৯০৪ সালে ‘দ্য কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটিস অ্যাক্ট’ পাস করেন লর্ড কার্জন। এর আগে ১৯০০ সালে পাস হয় ‘পাঞ্জাব ল্যান্ড অ্যালাইনেশন অ্যাক্ট’। ফলে কৃষকরা নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলেও মহাজনরা তাদের জমি দখল করতে পারত না।
ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক দুর্গা দাস ‘ইন্ডিয়া: ফ্রম কার্জন টু নেহরু অ্যান্ড আফটার’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। বইটির একটি অধ্যায়ের নাম ‘দ্য কার্জন লিগ্যাসি’। এ অধ্যায়ে ভাইসরয় হিসেবে লর্ড কার্জনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছেন দুর্গা দাস। তার মতে, কার্জনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সাম্রাজ্যের ভিত্তিকে শক্তিশালী করা। ভারতকে একটি শক্তিশালী ও প্রগতিশীল প্রশাসন উপহার দিতে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কার্জনের দায়িত্ব গ্রহণের আগে ব্রিটিশ ভারতের তিনটি প্রেসিডেন্সির (বেঙ্গল, বোম্বে ও মাদ্রাজ) গভর্নররা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি তাদের কেন্দ্রের অধীন করেন। একইভাবে পাতি নবাবদের মতো আচরণ করা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের তিনি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ জবাবদিহি করতে বাধ্য করেন। ‘অল-ইন্ডিয়া পাবলিক সার্ভিস’-কে একটি সুসংহত রূপ দিতে পেরেছিলেন লর্ড কার্জন। প্রশাসনের কার্যকলাপকে নির্বিঘœ করতে তিনি ১০ হাজার শব্দের একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এটিকে সরকারি কর্মীদের বাইবেল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে তিনি প্রবন্ধটি লিখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা সংস্কার ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে এক্ষেত্রে একটি ব্যাপারে তিনি চরম সমালোচিত। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা নিয়ে গঠিত কমিশনে তিনি কোনো ভারতীয় বুদ্ধিজীবী বা শিক্ষাবিদকে স্থান দেননি। রেলওয়েকে তিনি বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিনি খাল খননের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ভাইসরয় হিসেবে তার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে ভারতে মারাত্মক বন্যা হয়। এ বন্যায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। বন্যাকবলিত এলাকার ৬০ লাখ মানুষকে ত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করেন লর্ড কার্জন। তার আরেকটি বড় কৃতিত্ব হলো ‘অল-ইন্ডিয়া আর্কিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট’ প্রতিষ্ঠা। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অতীতের স্মৃতি বহনকারী প্রাচীন স্থাপত্যগুলোকে সংরক্ষণের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠানটি গঠন করেন। কার্জন নিজে লেখালেখি করতেন। অন্যদেরও উৎসাহিত করতেন। দুর্গা দাস তার বইতে লেখেন, একবার এডওয়ার্ড বাকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। বাক তখন সিমলায় রয়টার্সের প্রতিনিধি ছিলেন। দুর্গা দাসের সঙ্গে পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গেই একটি বই তার হাতে দেন এডওয়ার্ড বাক। বইটি তার লেখা। নাম ‘সিমলা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট’। এডওয়ার্ড বাক দুর্গা দাসকে জানান, বইটি লিখতে তাকে লর্ড কার্জন উৎসাহিত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, পা-ুলিপিও তিনি সংশোধন করে দিয়েছিলেন। দুর্গা দাসকে সযতনে সংরক্ষিত সে পা-ুলিপিটিও দেখিয়েছিলেন এডওয়ার্ড বাক। সেখানে কার্জনের নিজের হাতে করা সংশোধন ও সংযোজনের চিহ্ন দেখেছিলেন দুর্গা দাস।
দুনিয়ায় কোনো মানুষই অবিমিশ্র নয়। ভাইসরয় হিসেবে লর্ড কার্জনের প্রশংসা ও সমালোচনা উভয়ই আছে। তার বিভিন্ন দিক নিয়ে নানা সময়ে ঐতিহাসিক ও গবেষকরা আলোকপাত করেছেন। এখনো করছেন। সেদিকে না গিয়ে ভাইসরয় হিসেবে তার কাজের একটি ফিরিস্তি তুলে ধরাই এ লেখার উদ্দেশ্য। লর্ড কার্জন ভাইসরয় থাকাকালে ভারতে এসেছিলেন নেভিল চেম্বারলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ভারত থেকে পিতার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে লর্ড কার্জনকে নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলেন তিনি। কার্জনকে নিয়ে নেভিল চেম্বারলেনের সে উক্তির কিয়দংশ তুলে ধরে লেখাটির ইতি টানব। তিনি লেখেন, ‘আমার ভ্রমণকালে কার্জন সম্পর্কে আমি অনেকের কাছ থেকে মতামত নিয়েছি। সেগুলোর ভিত্তিতে আমি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে তিনি একজন মহৎ ভাইসরয়।’ লেখক: নিজাম আশ শামস: লেখক ও অনুবাদক
৪‘লাল সালাম’-এর পর রজনীকান্তের শেষ ছবি?
মেয়ে ঐশ্বরিয়া পরিচালিত ‘লাল সালাম’-এর নিয়ে বর্তমান ব্যস্ততা রজনীকান্তের। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। শোনা যাচ্ছে, ‘লাল সালাম’-এর পর আরেকটি সিনেমায় নাম লিখিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন থালাইভা। গুঞ্জন বলছে, নিজের ১৭১তম ছবির মাধ্যমে পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনকে বিদায় জানাতে চান রজনীকান্ত। শেষ সিনেমাটি পরিচালনা করবেন বিক্রম, কাইথি-খ্যাত লোকেশ কনগরাজ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তামিল নির্মাতা ও অভিনেতা মিশকিন জানান, ১৭১তম ছবিতে শেষবার দেখা যাবে রজনীকান্তকে। সেই ছবির অন্যতম মুখ মিশকিন।
তিনি জানান, নিজের অভিনয় জীবনের এই মাইলফলক ছবির জন্য কনগরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন রজনীকান্ত। পেশাদার অভিনেতা হিসেবে বিদায় যাতে নিখুঁত হয়, তা নিশ্চিত করতে চান তিনি। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি রজনীকান্ত। এ অভিনেতার মুক্তিপ্রতীক্ষিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘জেলার’। যেখানে তার সঙ্গে আছেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা মোহনলাল ও বলিউডের জ্যাকি শ্রফ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com